কুড়িগ্রাম

দেড় হাজার কৃষকের ভরসা ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্প

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৩

কুড়িগ্রামের নদীবিধৌত চরাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচব্যবস্থা চালু করে কৃষকের ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)। ডিজেলের চড়া দামের বিপরীতে সোলার পাম্পে সেচ খরচ অনেক কম হওয়ায় চাষিদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।

জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজরাদিয়ার খাতা গ্রামে কৃষকের ক্ষেতে পানি সেচ দিতে ছুটে বেড়াচ্ছে ভ্রাম্যমাণ সোলার সেচ পাম্প। ওই এলাকার প্রায় দেড় হাজার কৃষকের ধানসহ অন্য ফসলের ক্ষেতের সেচের জন্য নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পটি।

jagonews24

লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর বিশেষ কায়দায় স্থাপন করা হয়েছে আটটি সোলার প্যানেল। ব্যাটারিবিহীন একটি কনভার্টারের সাহায্যে বৈদ্যুতিক মোটর যুক্ত করে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে নদী-নালা, খাল-বিল থেকে সহজে পানি পাচ্ছেন কৃষকরা। পরিবহনের ঝামেলা এড়াতে চাকা লাগিয়ে বানানো এই ভ্রাম্যমাণ সোলার প্যানেলের সেচ পাম্প। হাতের কাছে এমন সাশ্রয়ী সেচব্যবস্থা আশা জাগিয়েছে কৃষকদের মনে।

কথা বজরাদিয়ার খাতা গ্রামের মো. হারুন রশীদ নামে এক কৃষকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সোলার সেচ পাম্পে কম খরচে ফসল ঘরে তুলতে পেরে আমরা অনেক খুশি। কেননা আগে শ্যালোইঞ্জিন দিয়ে সেচ দিতে এক বিঘা ধানের জমিতে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা খরচ হতো। সেখানে এখন আমরা ৪-৫ হাজার টাকায় পানি সেচ দিতে পারছি। আবাদে পানি নিয়ে আর আমাদের কোনো চিন্তা নেই।

jagonews24

আরেক কৃষক মো. আবু বক্কর বলেন, ক্ষেতে পানি নিয়ে আমাদের এলাকার মানুষের আর দৌড়াদৌড়ি নেই। ঘুম থেকে উঠে কে আগে জমিতে পানি নেবে সেই দিন শেষ। আমরা ক্ষেত লাগানো থেকে তোলা পর্যন্ত সোলার পাম্পের সঙ্গে চুক্তি করি। ওরা এসে আমাদের ফসলের ক্ষেতে পানির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এমন নিরাপদ সেচব্যবস্থা পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এই ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পে কম খরচে ফসল ঘরে তুলতে পারছি। চরের পতিত জমিতে এখন ইরি-বোরো আবাদ করতে পারছি।

আরডিএর সোলার প্যানেল সেচ পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মো. মাহফুজার রহমান বলেন, এই ভ্রাম্যমাণ সেচ পাম্প সহজে স্থানান্তর করা যায়। জ্বালানি তেল ও যান্ত্রিক ঝামেলার কোনো বালাই নেই। যে কোনো জায়গায় সহজে স্থানান্তর করা যায়। কম খরচে পানি পেয়ে খুশি কৃষকরা।

jagonews24

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষান দাশ বলেন, এটা সরকারি অর্থায়নে আরডিএর একটি প্রকল্প। স্থানীয় একজন কৃষকের তত্ত্বাবধানে ওই ভ্রাম্যমাণ সোলার পাম্পে প্রায় দেড় হাজার কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। চরাঞ্চলের কৃষকদের ভ্রাম্যমাণ সোলার সেচ পাম্পে আগ্রহ বেড়েছে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।