সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তিন মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রূপা আক্তার নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার মধ্য ছয়গাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি ওই এলাকার চাঁনমিয়া সরদারের মেয়ে।
খবর পেয়ে রোববার দুপুরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাঁনমিয়ার স্ত্রী রূপা আক্তার বিয়ের পর হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এতে তাদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই রূপা তার মা শোভনা বেগমের সঙ্গে থাকতেন।
তিন মাস আগে রূপা রাত্রী ও আদিত্য নামে দুই যমজ সন্তানের জন্ম দেন। শনিবার রাতে হঠাৎ করে চাঁনমিয়ার পরিবারের কাছে খবর আসে, রাত্রী নামে কন্যা শিশুটি মারা গেছে। এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা চাঁনমিয়া অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন রূপা আক্তার।
রাত্রীর দাদি জাহানারা বেগম বলেন, রূপা ভারসাম্যহীন হওয়ায় রাত্রী আর আদিত্য জন্ম নেওয়ার পর বাচ্চা দুটিকে আমাদের কাছে দিয়ে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু রূপার মা শোভনা বেগম আমাদের কাছে বাচ্চাদের দেয়নি। উনি সেদিন বাচ্চাগুলোকে আমাদের দিয়ে দিলে আজ এই ঘটনা ঘটতো না।
নিহতের ফুফু তাহমিনা বেগম বলেন, আমার ভাবি বাচ্চাদের রেখে বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় আমরা ধারণা করছি, শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন।
এদিকে, বিষয়টির খবর পেয়ে রোববার সকালে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রূপা আক্তার এবং তার মা শোভনা বেগমকে ওই বাড়িতে পাননি। তবে তাদের এক প্রতিবেশী মিজানুর রহমান জানান, রাতে তারা শিশুটির কান্নার আওয়াজ পেয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তারা দেখেন শিশুটি মারা গেছে বলে খবর পেয়ে বাবাসহ অন্য স্বজনরা এসেছেন। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুটির মা ও নানি সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে সুরতহালে শিশুটির শরীরে কোনোরকম আঘাতের চিহ্ন পাইনি। বাকিটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে বলা যাবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।
এমআরআর/জিকেএস