বিপৎসীমার ওপরে শেরপুরের দুই নদীর পানি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নালিতাবাড়ি উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বাতকুচি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিপৎসীমার ওপরে শেরপুরের দুই নদীর পানি

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভোগাই নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ৪৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢল প্রবাহিত হওয়ায় পানি কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টি স্থায়ী না হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর পানি কমবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় শেরপুর সদরে ৪৫মিলিমিটার, শ্রীবরদীতে ৪২ মিলিমিটার, ঝিনাইগাতীতে ৪০ মিলিমিটার, নালিতাবাড়ীতে ৫২ মিলিমিটার ও নকলায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বিপৎসীমার ওপরে শেরপুরের দুই নদীর পানি

দপ্তরটির তথ্যমতে, জেলায় একদিনে মোট বৃষ্টি হয়েছে ২৭৯মিলিমিটার এবং গড়ে ৫৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিকে ভারী বর্ষণের ফলে অব্যাহত আছে ব্রহ্মপুত্রের শাখা দশআনী নদীর ভাঙন। সমস্যা নিরসনে ইতোমধ্যে ২০০ মিটার তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক।

ইমরান হাসান রাব্বী/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।