এখন আর শুয়ে-বসে টিকিট কাটতে হয় না বামনডাঙ্গা স্টেশনে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৩

অডিও শুনুন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন পর দাঁড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট কিনতে পারছেন যাত্রীরা। এ স্টেশনে দুই বছরের বেশি সময় নিচু হয়ে শুয়ে-বসে কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে টিকিট কিনতে হয়েছে যাত্রীদের।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই স্টেশন থেকে শুয়ে-বসে টিকিট কেনার ছবি ভাইরাল হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এরপর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরে সেই সেই টিকিট কাউন্টার পরিবর্তন করা হয়।

jagonews24

বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন সূত্র জানায়, সান্তাহার-লালমনিহাট রুটে ১১টি রেলস্টেশন গাইবান্ধা জেলার সীমানায় পড়েছে। এর মধ্যে বামনডাঙ্গা স্টেশনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার ব্যবস্থা ছিল না। স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে ওঠানামা করতে ২০২১ সালের মে মাসে এ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। প্ল্যাটফর্ম উঁচু করায় টিকিট কাউন্টারটি নিচু হয়ে যায়। তখন থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে বসে হেলে টিকিট কাটতে হচ্ছিল যাত্রীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেল সপ্তাহে বামনডাঙ্গা স্টেশন মাস্টারের কক্ষের দুইটি দরজার মধ্যে একটি দরজা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে একটি টিকিট কাউন্টার চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের কষ্ট করে আর টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে না। এখন দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার ব্যবস্থা করায় খুশি যাত্রীরা।

jagonews24

স্থানীয়রা জানান, অপরিকল্পিতভাবে প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম উঁচু করার সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কাউন্টারের ঘরও উঁচু করা দরকার ছিল। কিন্তু যাত্রীদের সেবার কথা ভাবা হয়নি। ফলে দুই বছরের বেশি সময় খেসারত দিতে হয়েছে।

যাত্রীরা জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে বামনডাঙ্গা স্টেশনে বসে, শুয়ে কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে টিকিট কিনতে হতো। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এখন আর শুয়ে-বসে টিকিট কিনতে হয় না।

টিকিট কিনতে আসা সজিব মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আগে বসে থেকে টিকিট কিনতে খুব সমস্যা হয়েছিল। এখন দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবেই টিকিট কিনতে পেরে স্বস্তি লাগছে।

jagonews24

বামনডাঙ্গা এলাকার ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবি জাগো নিউজকে বলেন, ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই ট্রেনে করে গাইবান্ধা শহরে যেতে হয়। আমার কোমরে ব্যথা। কোমর বাঁকা করে মেঝেতে বসে কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে হতো। এতে আমার শারীরিক সমস্যা হতো। এখন দাঁড়িয়ে টিকিট কেনা যাবে।

বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন মাস্টার মো. হাইউল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, গত সপ্তাহ থেকে স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে অস্থায়ীভাবে টিকিট কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন স্টেশন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে। তখন আর এই ভোগান্তি থাকবে না।

শামীম সরকার শাহীন/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।