সিজারের পরই মারা গেলেন প্রসূতি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বেলকুচি পৌরসভার শেরনগরে বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মরিয়ম খাতুন (২৫) একই উপজেলার চর জোকনালা গ্রামের সুমনের স্ত্রী। তার পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকের ভুল অপারেশনের কারণে সন্তান সুস্থ থাকলেও মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
মরিয়ম খাতুনের স্বামী সুমন বলেন, ‘সকালে আমার স্ত্রীকে আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ওই হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজকেই সিজার করতে বলেন। দুপুরের দিকে সিজার করাতে অপারেশন রুমে নিয়ে যান চিকিৎসক কমল কান্তি ও বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মোফাখখারুল ইসলাম। পরে অপারেশন রুমে গিয়ে দেখি মরিয়ম অজ্ঞান হয়ে আছে। নার্সদের জিজ্ঞাসা করলে জানান রোগীর জ্ঞান ফেরেনি। কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এই বলেই ডাক্তার ও নার্সরা পালিয়ে যান। পরে বুঝতে পারি আমার স্ত্রী মারা গেছে।’
বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালের পরিচালক রহমান আলী জানান, সিজারটা বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মোফাখখারুল ইসলাম ও ডা. কমল কান্তি করেছেন। এ রোগী কীভাবে মারা গেলো তারাই ভালো বলতে পারবেন।
বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মোফাখখারুল ইসলাম সিজারের কথা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ওই রোগী সিজার করার পর সুস্থ ছিলেন। তবে আমি হাসপাতাল থেকে চলে আসার পর হয়তো স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
তবে ডা. কমল কান্তির মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোনটি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় জাগো নিউজকে বলেন, বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে এর আগেও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এম এ মালেক/এফএ/এএসএম