সকাল ৮টায় বাবার মৃত্যু, ১০টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে মেয়ে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৩

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো শান্তা ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। বাড়ির বাইরে মাইকে জানাজা ও দাফনের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন শান্তা ইসলাম। পরীক্ষা শেষে শান্তা বাড়ি ফিরলেই বাবার জানাজা ও দাফন কাজ শেষ করা হয়।

মৃত মো. মাহাম্মুদ শেখ দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শান্তা ছোট।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক আত্মীয়ের সঙ্গে কেন্দ্রে যায় শান্তা। এর আগে সকাল ৮টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মারা যান। শান্তা ইসলাম আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার পরীক্ষা কেন্দ্র আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল এলাকার বাসিন্দা মাহাম্মুদ শেখ (৬২) মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুতে বাড়িজুড়ে কান্নার রোল পড়ে। বাবার মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেও পরীক্ষার কেন্দ্রে যায় মেয়ে শান্তা। বাবাকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দেয় সে।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম এম মজিবুর রহমান মুজিব জাগো নিউজকে বলেন, কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে মেয়েটির খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। বাবাকে হারানো সন্তানের জন্য খুবই কষ্টের বিষয়। তারপরও শান্তা ইসলাম তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরীক্ষায় বসেছে।

এ বিষয়ে পরীক্ষায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রজত বিশ্বাস বলেন, শান্তা ইসলাম সহপাঠীদের সঙ্গে বসে পরীক্ষা দিয়েছে। বাবা হারানোর শোক যে কোনো সন্তানের জন্য কষ্টের। সে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। সবার সঙ্গে পরীক্ষা দিলে তার জন্য ভালো হবে ভেবে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।