বরিশাল

বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণ, ডিসি-ইউএনওসহ ৫ জনের নামে মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৩

বরিশালে বিরোধপূর্ণ জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার (২০ আগস্ট) টুঙ্গিবাড়িয়া কাজলাকাঠি ও বারৈকান্দি এলাকার ১৫ জন বাসিন্দা মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ হাসিবুল হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

মামলায় বিবাদীরা হলেন- জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান ও টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে সঙ্গে নিয়ে ছাগল বিতরণ করলেন ডিসি

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের একটি জমিতে সাবেক জে এল ৭৮ তথা বি এস, জে এল ১৩০ নং বারৈকান্দি মৌজার এস এ ১৭২, ২১৮ নম্বর খতিয়ানের ৬১৫, ৬১৫/৯১২ নম্বর দাগের দশমিক ৩৮ একর তথা বিএস চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ১ নম্বর খতিয়ানের বি এস হাল ১৩২৫ নম্বর দাগের দশমিক ৪ একর এবং বি এস হাল ১৩২৯ নম্বর দাগের দশমিক ৩৪ একর, দশমিক ৩৮ একর ভূমিতে দীর্ঘদিন ধরেই আদালতের স্থিতাবস্থা জারি ছিল।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত সম্পত্তির জন্য দেওয়ানী মামলা করে বাদী পক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর আসামিদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত। তবে আসামিরা সেই শোকজের জবাব দেননি।

এরপর চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল আসামিদের আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত দুই পক্ষকে স্ব-স্ব দখল ও ব্যবহার অনুসারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

পরবর্তী সময়ে গত ২৬ জুলাই আসামিরা আদালতে আপত্তি দাখিল করেন। তখন আদালত দুই তরফা শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গত ১৩ আগস্ট বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসময় বাদীপক্ষ আদালতের স্থিতাবস্থার বিষয়টি জানায়। তখন তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করে আসামিপক্ষ। তাই আদালতে মামলা করে এ বিষয়ে সুবিচার চেয়েছে বাদী পক্ষ।

এ বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গত ১৩ আগস্ট আমাদের কোনো কাজ শুরু হয়নি। টুঙ্গিবাড়িয়ায় আমাদের দুটি কাজ চলমান রয়েছে। যা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ইতোপূর্বে জমি নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল সেটা আমরা ছেড়ে দিয়েছি। নতুন করে আদালতের কোনো আদেশ আমাদের কাছে আসেনি। আদেশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।

শাওন খান/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।