বেনাপোল চেকপোস্ট

ভারতফেরত যাত্রীকে পেটালেন কাস্টমস কর্মকর্তা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৩

ভারতফেরত জাফর খান নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বেনাপোল সার্কেলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, জাফর খান নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী শনিবার দুপুরে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাস্টমসে প্রবেশ করলে কাস্টমস কর্মকর্তারা তার ব্যাগ চেকিং শেষে চলে যেতে বলেন। তখন তিনি প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের করিডোরে এলে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম তার পথরোধ করে পুনরায় ব্যাগ তল্লাশি করেন। কিছু না পেয়ে তাকে পুনরায় কাস্টমস চেকিংয়ে পাঠান।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন প্রবাসী স্বামী

পুনরায় চেকিং করিয়ে বের হলে জাহাঙ্গীর আলম যাত্রীর ব্যাগ কেড়ে নিয়ে বলেন চার ঘণ্টা পরে আসেন। এ কথা বলার পর সেই যাত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় জাহাঙ্গীর আলমের। এক পর্যায়ে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য যাত্রীকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে বের করে দেন।

পরে চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান তাকে উদ্ধার করে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। পরে যাত্রী জাফর খান বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী যাত্রী জাফর খান বলেন, ভারত থেকে আসার সময় বেনাপোল কাস্টমসের বারান্দায় সাদা পোশাকে একজন লোক আমার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে বলেন চার ঘণ্টা পরে আসেন। এ কথা বললে আমার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে কাস্টমস কম্পাউন্ড থেকে বের করে দেন। পরে চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান আমাকে উদ্ধার করে তার রুমে নিয়ে আসেন। পরে জানতে পারি সাদা পোশাকের ব্যক্তি কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার একজন সদস্য। নাম জাহাঙ্গীর আলম।

আরও পড়ুন: চালকের গলা কেটে ভ্যান ছিনতাই, গ্রেফতার ৩

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাসপোর্টধারী যাত্রীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে এটা দুঃখজনক। বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দা উপ-পরিচালক আরেফিন জাহেদী স্যারকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আরেফিন জাহেদীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।

মো. জামাল হোসেন/জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।