আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেই শাস্তি পেতে হয়: জি এম কাদের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩

আওয়ামী লীগ মানুষের বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই শাস্তি পেতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তিনি বলেন, তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের যদি ভোটাধিকার থাকতো, তাহলে তাদের একনায়কতন্ত্র কখনো স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হতো না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে। কিন্তু এ দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের লোকজনই সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে ৯ বছর পর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সংসদের বিরোধী দলীয় এ উপনেতা এসব কথা বলেন।

‘আগামী নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে আমাদের আরও একটি যুদ্ধ’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করতে পারে না। তারা ভোটাধিকার হরণ করেছে। তারা দেশে বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আগামীতে অনেক সময় লাগবে কৃত্রিম এ বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে। অনেকে মাসে ৫ হাজার টাকা আয় করতে পারে না, আবার অনেকেই ৫-৫০ কোটি টাকা আয় করছে। অনেকে আবার ৫০০ কোটি টাকাও আয় করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা হচ্ছে- দেশের মালিক হবে মানুষ। তারাই দেশকে পরিবর্তন করবে, সরকারকে পরিবর্তন করবে।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ উল্যার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান মাহমুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক চুন্নু।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোহাম্মদ নোমান ও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠু প্রমুখ।

কাজল কায়েস/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।