নদীভাঙন রোধের ব্লক নিজ বাড়িতে নিলেন পাউবোর প্রকৌশলী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২৩

বরিশালের উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন স্থানের ভাঙন রোধের জন্য নির্মিত ব্লক পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা শাকিল রানা ট্রাকযোগে নিজ বাড়িতে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত শাকিল পাউবো বরিশাল কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক)। বিষয়টি জানতে পেরে ব্লক যথাস্থানে ফেরত পাঠানোর জন্য মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা পাউবো অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন রোধের জন্য পাউবোর ঠিকাদাররা পাথরের ব্লকগুলো তৈরি করেন। কয়েকদিন আগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাকিল রানা কয়েকটি ট্রাকযোগে ব্লকগুলো তার গ্রামের বাড়ি উজিরপুরের হস্তিশুণ্ড ঈদগাহ মার্কেট এলাকায় নিয়ে যায়।

jagonews24

স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুর রহমান বলেন, ‘শাকিল রানার বাড়িতে আনা ব্লকগুলোর ওপর সিরিয়াল নম্বরসহ ইংরেজিতে ডব্লিউ ডি বি খোদাই করে লেখা আছে। বর্গাকৃতির ব্লকগুলো কোনোটির দৈর্ঘ্য এক ফুট আবার কোনোটির দৈর্ঘ্য দেড় ফুট হবে। তবে প্রতিটির প্রস্থ এক ফুটের মতো। যে পরিমাণ ব্লক আনা হয়েছে তার মূল্য অর্ধকোটির টাকারও বেশি হবে।’

শাকিল রানার বাড়ি ও নির্মাণাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বেশকিছু অংশজুড়ে পাউবোর তৈরি কয়েকশ ব্লক সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। এছাড়া বাড়ির অদূরে নির্মাণাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পেছনে ব্লকগুলো সারিবদ্ধভাবে রেখে প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে রাখা। বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চারপাশ ঘিরে রাখা ব্লকের ফাঁকা অংশ বালু দিয়ে ভরাটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাকিল রানা বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে ভাঙন এলাকায় ব্লক স্থাপনের কাজ শেষে বেশকিছু ব্লক উদ্বৃত্ত ছিল। সেগুলো এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন এলাকায় পড়ে ছিল। ঠিকাদাররাও ফেরত নিচ্ছিল না। তাই আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই ব্লকগুলো বাড়িতে নিয়েছি।’

jagonews24

তবে পাউবোর কোন কোন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ) আব্দুস সালাম খান বলেন, পাউবোর ব্লক বাড়িতে নিয়ে রাখা ঠিক হয়নি। লোকমুখে শুনে ব্লকগুলো যথাস্থানে ফেরত পাঠানোর জন্য তাকে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি একজন কর্মকর্তার এ ধরনের কাজ পুরোপুরি অনৈতিক। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাওন খান/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।