৩৭ মণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরলো ট্রলার
বঙ্গোপসাগরে সাত দিনে ৫০ মণ মাছ ধরেছেন ‘এফবি অলিউল্লাহ-১’ নামের একটি ট্রলারের জেলেরা। এর মধ্যে শুধু ইলিশই ৩৭ মণ। মাছগুলোর দাম আনুমানিক ২১-২২ লাখ টাকা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত ১১ আগস্ট বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা থেকে সাগরে মাছ শিকার করতে যায় ট্রলার ‘এফবি অলিউল্লাহ-১’। এরপর টানা সাত দিন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকার করেন ওই ট্রলারের জেলেরা। এতে প্রায় ৫০ মণ সামুদ্রিক মাছ আহরণ করেন তারা। একসঙ্গে এত মাছ শিকার করতে পারায় বেজায় খুশি ট্রলারের জেলেরা। পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন তারা। গত কয়েক বছরে এক ট্রলারে এত মাছ ধরা পড়েনি।
পাথরঘাটার এফবি অলিউল্লাহ-১ ট্রলারের মাঝি শাহ আলম (৪৮) বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের চালনার বয়া এলাকা পশ্চিম দিকে পাঁচ ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে গিয়ে মাছ ধরেছি। এছাড়া বাইজদার বয়া এলাকা থেকে পূর্ব দিকে আট ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে গিয়ে মাছ ধরেছি। মাছ বিক্রি করে আবার সাগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবো খুব শিগগির।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাছ ভাগ্যের বিষয়। আমাদের ভাগ্য ভালো তাই মাছ বেশি পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: ইলিশের কেজি ৪৫০
ট্রলারটির জেলে আব্দুল হাকিম (৫৫) ও ইসমাইল (২০) বলেন, ‘আমরা মোট সাতবার জাল ফেলেছি। প্রতিবার ৬ মণ, ৭ মণ করে মাছ পেয়েছি। জালে এতো মাছ দেখে আমরা যেমন অবাক হয়েছি, ঠিক তেমনি খুশিও হয়েছি। আমরা একসঙ্গে এতো মাছ আর কোনোদিন পাইনি।’
জেলে রাকিব (২৭) বলেন, ‘নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে দুই হাজার ১০০ থেকে দুই হাজার ২০০ ইলিশ পেয়েছি আমরা। এর মধ্যে ১৫০০ ইলিশের প্রতিটির ওজন এককেজির ওপরে। সে হিসেবে দেড় মেট্রিক টনেরও (৩৭ মণ) বেশি পেয়েছি শুধু ইলিশ।’
ট্রলারটির মালিক আলম মোল্লা বলেন, ‘সাগরে এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আমার ট্রলারে যে মাছ পেয়েছি তার দাম ২১-২২ লাখ টাকা। এভাবে মাছ পাওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমরা ব্যাপক লাভবান হবো।’
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ‘মাছ ধরার ওপর সরকারের বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করায় সাগরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। তাই জেলেরা ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন। আগামী দিনগুলোতেও সরকারের নির্ধারিত সময়ের নিষেধাজ্ঞা মানলে ইলিশসহ সামগ্রিক মাছের প্রজনন বাড়বে।’
এসআর/জিকেএস