‘রোহিঙ্গারা মানবপাচারে জড়িয়ে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৩

‘ভৌগোলিক কারণে মানবপাচারকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি সুবিধাজনক স্থান। সীমান্তবর্তী ১৬ জেলাকে মানবপাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করে পাচারকারীরা। সমুদ্রপথে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের অনিয়মিত অভিবাসন আঞ্চলিক সমস্যায় রূপান্তরিত হয়েছে। আশ্রয়ের জন্য এদেশে আসা রোহিঙ্গারা এখন চোরাচালান, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচারে জড়িত হয়ে দুশ্চিন্তা-ভোগান্তি বাড়িয়েছে। সোমবার রাতেও পাচার হতে যাওয়া ৩৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সচেতনতা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা গেলেই কেবল মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।’

সোমবার (১৪ আগস্ট) সৈকতের তারকা হোটেল সীগালের সন্মেলন কক্ষে ইউএসএইড ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ‘মানবপাচার প্রতিরোধ’ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় নজরুল ইসলাম শান্তোর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি চিফ অফ পার্টি এইচএম নজরুল ইসলাম এবং এতে মানবপাচারের ওপর ডকুমেন্টারি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন আমেরিকান নাগরিক উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সিইও ফ্লিডম্যান।

এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, মানবপাচার বিশ্বব্যাপী একটি মানবাধিকার সমস্যা। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি নারী, পুরুষ ও শিশু পাচারের শিকার হয়। যাদের বাণিজ্যিকভাবে যৌনকাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে, বলপূর্বক শ্রম ও ঋণ-দাসত্ব হিসেবে কেনা-বেচা করা হয়। পাচারকারীরা বিশ্বের প্রতিটি দেশের অসহায় মানুষকে তাদের শিকারে পরিণত করার মাধ্যমে শত হাজার কোটি টাকা (বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার) মুনাফা করে থাকে। কক্সবাজারে সোমবার রাতে গাড়ির কাউন্টার থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে শৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় দুইজন রোহিঙ্গা পাচারকারীও আটক হন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের সংকট আর উন্নত জীবনের আশায় থাকা নারী, শিশু ও বিভিন্ন বয়সী মানুষ পাচারকারির টার্গেটে পড়ে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রগুলোর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কার্যক্রম হচ্ছে মানবপাচার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এই অপকর্মের জন্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার সব ধরনের মানবপাচার, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন আইন প্রণয়ন, পাশাপাশি পাচারবিরোধী বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এতে কক্সবাজার গেস্ট হাউস-হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেস সিকদার, মহিলা চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জাহানারা ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, টুয়াকের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।