বিয়ে করতে এনে প্রেমিকাকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করলেন প্রেমিক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৩

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার লংগরপাড়া গ্রামের এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জামালপুরের দয়াময়ী মোড় যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগে লোকমান মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় হস্তান্তরের পর সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার লোকমান শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনার পর থেকে আসামি গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ছিল। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে আসামি লোকমানকে গ্রেফতার করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার লংগরপাড়া গ্রামের ওই তরুণীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় দুই বছর আগে ওই সংসার ভেঙে যায়।

এরপর থেকে ওই তরুণী বাবা-মায়ের সঙ্গে গাজীপুরে বসবাস করতেন। তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একই পোশাক কারখানায় কাজ করতেন লোকমান। সেই সুবাদে তাদের বাসায় আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লোকমানের।

বিষয়টি জানাজানি হলে তরুণীকে নানাবাড়ি শ্রীবরদী উপজেলার দক্ষিণ লংগরপাড়া গ্রামে পাঠিয়ে দেন তার বাবা-মা। এতে লোকমান ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে গত ২০ জুন নানাবাড়ি থেকে তরুণীকে নিয়ে যান। দিনভর নানান জায়গায় ঘোরাফেরার পর কৌশলে জামালপুরের দয়াময়ী মোড়ের যৌনপল্লীতে তাকে বিক্রি করে পালিয়ে যান প্রতারক লোকমান।

এদিকে মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পারিবারিক সম্মানের ভয়ে কাউকে না জানিয়ে গোপনে খুঁজতে থাকেন অভিভাবকরা। একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট তরুণীর মায়ের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনটি রিসিভ করতেই ওই নম্বর থেকে ‘আমাকে বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শোনা যায়। তবে এসময় ঠিকানা বলতে পারেনি ভুক্তভোগী তরুণী।

ভিন্ন মাধ্যমে মেয়েকে জামালপুর যৌনপল্লীতে বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে গত ৯ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর মা। ওইদিন রাতেই যৌনপল্লী থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।

ইমরান হাসান রাব্বি/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।