ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা, ২ জনকে কুপিয়ে জখম
ঝিনাইদহে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারতে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। রোববার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরের নলডাঙ্গা কালীতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার খড়াশুনী গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হযরত বিশ্বাস (৩৫) এবং একই গ্রামের শফি উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সীমা খান (৫৩)।
এ ঘটনার পর হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে রাত ১০টার দিকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল বিশ্বাসের স্ত্রী বেবি নাজনীন এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন মারামারিতে জড়ান। এতে কবির হোসেনের মারপিটে আহত হয় বেবি নাজনীন। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার দোকান-অফিসে ভাঙচুর-লুটপাট
জানা যায়, সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্মী এমদাদুল হক সোহাগের মধ্যে। এরই জেরে কবির হোসেনের সমর্থক হযরত বিশ্বাস ও সীমা খান রাতে নলডাঙ্গা বাজারের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় কালীতলা মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, আমার সমর্থক হযরত ও সীমা বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল। তাদের টার্গেট করে মেরেছে প্রতিপক্ষ সোহাগের লোকজন। হাসপাতালের ভেতরে সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী আমাকে আগে মেরেছে এরপর আমি ঠেকিয়েছি। পড়ে পড়ে তো মার খেতে পারি না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী এমদাদুল হক সোহাগ বলেন, আমার কোনো গ্রুপিং নেই। আমি উপজেলার রাজনীতি করি। নলডাঙ্গার মারামারির সঙ্গে আমি জড়িত না। শত্রুতা করে কেউ আমার নাম ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, হযরত বিশ্বাস ও সীমা খানের শরীরের বিভিন্নস্থানে কাটার ক্ষত আছে। এদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/জেএস/জেআইএম