বাগানে মিললো তরুণ-তরুণীর মরদেহ, পাশে ছিল ব্যাগ-খাবার
নওগাঁর মান্দায় আরিফ হোসেন (২২) ও জুলিয়া আক্তার (১৬) নামে এক প্রেমিক যুগলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের তুলশিরামপুর গ্রামের একটি ইউক্যালিপটাস বাগান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
আরিফ হোসেন তুলশিরামপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ও স্থানীয় কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। জুলিয়া আক্তার একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি এবার এসএসসি পাশ করেছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরিফ হোসেন ডিগ্রিতে ও জনি উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশুনা করতেন। তাদের দুজনের বাড়িই তুলসি রামপুর গ্রামে। বছরখানেক আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি তাদের পরিবার জানতে পেরে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাদের বিয়ে দিতে বললেও পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: প্রাণ দিয়ে ১৮ বছরের অশান্তি থেকে মুক্তি নিলেন স্কুলশিক্ষক
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে আরিফ স্থানীয় বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার মা তাকে ফোন করে কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি জানান তার এক বন্ধুর বাড়িতে আছেন। সকালে বাড়ি ফিরবেন। অন্যদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুলিয়া তার মার সঙ্গে একই ঘরে ঘুমাতে যান। ভোরে তার মা তাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন।
সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকেরা কাজ করতে গিয়ে তুলশিরামপুর গ্রামের একটি ইউক্যালিপটাস গাছের বাগানের মধ্যে আরিফ ও জুলিয়ার মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে আরিফ ও জুলিয়ার স্বজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ছুটে যান। সকাল ৯টার দিকে মান্দা থানা পুলিশের একটি দল এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, নিহত তরুণ ও কিশোরীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাদের দুজনের মুখ দিয়ে ফেনা ও লালা বের হওয়ায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পানির বোতল ও দুটি কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিযানে গিয়ে মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ সদস্য
তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং তারা দুজনেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জেএস/জেআইএম