১০ ফুট গর্ত থেকে মরদেহ উদ্ধার
পরকীয়ার জেরে প্রেমিক শাহিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন হোসনে আরা
নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে প্রেমিক শাহিন শাহকে (৪৫) শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ১০ ফুট গভীর গর্ত করে পুঁতে রাখেন হোসনে আরা বেগম (৪০)। পরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব ও পুলিশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে শাহিনের মরদেহ।
শরিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রেমিকা হোসনে আরা বেগমের বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে ১০ ফুট গভীরের মাটি সরিয়ে উদ্ধার করা হয় শাহিন শাহর মরদেহ।
নিহত শাহিন শাহ নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার শাহের ছেলে। তিনি পেশায় আইনজীবীর সহকারী ছিলেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোসনে আরা বেগম ও তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার উঠানের ১০ ফুট মাটি খুঁড়ে বের করা হলো প্রেমিকের মরদেহ
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে তিন সন্তানের জননী হোসনে আরার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শাহিন শাহ। গত ছয়মাস ধরে এ সম্পর্ক চলছিল। তাদের মধ্যে এ অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ৬ আগস্ট শাহিন শাহকে চেতনানাশক খাইয়ে গলায় বেল্ট জড়িয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন হোসনে আরা। পরে ছেলের (১৪) সহায়তায় বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে ১০ ফুট গর্ত করে মরদেহ ফেলে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শাহিনের পরিবার ৯ আগস্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার হোসনে আরাকে আটক করে র্যাব ও পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাব নাটোরের কোম্পানি অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার নুরুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, শারমিন মাহমুদা, শরীফ আল রাজিব প্রমুখ।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/এমএস