ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও দুইজনের সাক্ষ্য

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১১ দফায় আরও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

সাক্ষ্যদাতারা হলেন রয়েল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার জাকির হোসেন ও সাংবাদিক নুর নবী জনি। এই মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হক

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, সাক্ষীরা যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাতে প্রমাণ হয় না মামুনুল এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সাক্ষীদের জবানবন্দির সঙ্গে বর্তমান সাক্ষ্যের কোনো মিল নেই। তারা আমাদের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দুইজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীরা সবাই বলেছেন মামুনুল ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল। সাক্ষ্য শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: আদালতে মামুনুল হক, ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দেবেন ৪ জন

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সেইসঙ্গে আদালতপাড়া জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: আমাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী চিহ্নিত করে নাটক সাজানো হয়েছে: মামুনুল হক

ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।