প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা তিস্তা বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৩

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। সেইসঙ্গে এ উপলক্ষে পরিষদের পক্ষ থেকে সাত দিনব্যপী আনন্দ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী ও সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, শত প্রতিকূলতার পাহাড় ডিঙিয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের লাখো মানুষের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দৃপ্তকণ্ঠে বলেছেন, ‘আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করবো।’ তার ঐতিহাসিক এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সূচিত হলো শতবঞ্চনায় নিষ্পেষিত উত্তর জনপদের কোটি মানুষের স্বপ্নযাত্রা বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

নেতারা বলেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে খুবই স্পষ্ট ও ইতিবাচক হিসেবে মূল্যয়ন করছে। এরইমধ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুই মাসের মধ্যেই অর্থাৎ চলতি অর্থবছরেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন হবে, যা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবীর বিন আনোয়ার।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের স্লোগান ছিল, ‘কোটি মানুষের স্বপ্ন তিস্তা মহাপরিকল্পনা, স্বপ্ন বুনেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, বাস্তবায়নে শুধুই আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’। আমাদের দাবি ছিল পদ্মা সেতুর মতো নিজের টাকায় তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমরাই বাস্তবায়ন করবো ঘোষণায় আমাদের দাবির প্রতিফলন স্পষ্ট হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণার কথা বলেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেওয়ায় তিস্তাপাড়ের স্বপ্ন বোনা কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন আমরা চাই একনেকে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে কাজ শুরু হোক। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার উদ্বোধনের অপেক্ষায় এখন তিস্তাপাড়ের মানুষ।

নেতারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিস্তার দুই তীরে সাত দিনব্যপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- শুক্রবার বাদ জুমা তিস্তা নদীর দুই তীর এবং জনপদের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিস্তার দুই তীরের সব উপজেলায় লোকালয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা, আনন্দ আড্ডা, সর্বজনের আনন্দ সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

কর্মসূচিতে পরিষদের সব স্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও তিস্তা অববাহিকার প্রতিটি শ্রেণিপেশার মানুষকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন নেতারা।

জিতু কবীর/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।