চাহিদার অর্ধেক টাকা দেওয়ায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ০১ আগস্ট ২০২৩

দিনাজপুরের কাহারোলে চলতি বছরে প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় চাহিদা অনুয়ায়ী টাকা না দেওয়ায় ৯ শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় উপজেলার পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদরাসা ও চামদুয়ারি দাখিল মাদরাসার হল সুপার ও কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হল সুপার ও কেন্দ্র সচিব শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রতি ৮০০ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু কয়েকজন শিক্ষার্থী ৪০০ টাকার বেশি দিতে পারেনি। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের ফেল করানো হয়েছে। ফলে ওই শিক্ষার্থীরা অন্য বিষয়গুলোতে সন্তোষজনক নম্বর পেলেও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ফেল করেছে।

এ ঘটনায় সোমবার (৩১ জুলাই) লিখিতভাবে ওই হল সুপার ও কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে কাহারোল ইউএনও এবং মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ করে পরীক্ষার ফল পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন দুটি মাদরাসার প্রধান (সুপার)।

লিখিত আবেদনে পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদরাসার সুপার তমিজুল ইসলাম জানান, এবার দাখিল পরীক্ষায় কাহারোল বাজার ফাজিল মাদরাসায় তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার কাদেরী কেন্দ্র সচিব এবং হাটিয়ারী দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার প্রধান লোকমান আলী হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষার্থীরা ব্যবহারিক পরীক্ষায় তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইচ্ছাকৃতভাবে চার শিক্ষার্থীকে ফেল নম্বর দেওয়া হয়েছে।

একইভাবে চামদুয়ারী দাখিল মাদরাসার সুপারও পাঁচ পরীক্ষার্থীকে ফেল করার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সুবিচারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, দুই মাদরাসা প্রধান বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাহারোল বাজার দাখিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব আব্দুস সাত্তার কাদেরী বলেন, ‘কেন এমন অভিযোগ করা হচ্ছে আমি জানি না। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরতো আমি দেইনি। এজন্য আলাদা পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তারা কত নম্বর দিয়েছেন আমি জানি না।’

টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কোনো টাকা নেইনি।

এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।