স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিলেন স্বামী!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ৩১ জুলাই ২০২৩

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহ কৌশলে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিয়ে উধাও স্বামী।

এ ঘটনায় রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে স্বামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ উপজেলার জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের কাজী শফিকুর রহমানের মেয়ে।

টুম্পার বাবা বলেন, ‘জামাই সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বাহারাইন থেকে দেশে আসেন। এ সময় টুম্পা আমাদের বাড়িতে ছিল। শনিবার দুপুরে আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে টুম্পাসহ সাইফুল বড়পুষ্করনী গ্রামে নিজ বাড়িতে চলে যায়। সন্ধ্যার কিছু সময় আগে সাইফুল একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে টুম্পাকে আবার আমাদের বাড়ি নিয়ে আসে। এ সময় তিনি জানান টুম্পা অচেতন অবস্থায় আছে, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। আপনারা আমার সঙ্গে আসেন।’

কাজী শফিকুর আরও বলেন, ‘তাকে নিয়ে আমরা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাইফুল টুম্পাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নেবে বলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং ঘরে রেখে উধাও হয়ে যায়। মূলত সাইফুল তার বাড়িতে নিয়ে আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর এ নাটক সাজিয়েছে। তবে কী কারণে এটি করেছে এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. মো. সোলেমান বাদশা বলেন, গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কালো চিহ্ন আছে। আমরা গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করলেও তার স্বামী সাইফুল ইসলাম অসৌজন্যমূলক আচরণ করে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যান।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জাহিদ পাটোয়ারী/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।