রূপগঞ্জের ‘বিষফোঁড়া’ চনপাড়া বস্তি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিনদিকে নদী এবং একদিকে খালবেষ্টিত এলাকাটি চনপাড়া বস্তি। জায়গাটি মাদক কারবারি ও অপরাধীদের ডেরায় পরিণত হয়েছে। এই বস্তির অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে হরহামেশাই সেখানে ঘটছে সংঘর্ষ-গোলাগুলি। যে কারণে চনপাড়া বস্তিকে এখন রূপগঞ্জ উপজেলার বিষফোঁড়া বলছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, অপরাধচক্রের সঙ্গে জড়িত কেউই ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান লোকজন গিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন অপরাধীদের ‘আড্ডাখানা’। খুব দূরে না হওয়ায় সহজেই রাজধানীর মাদকসেবীরা সেখানে চলে যান। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ঢাকার ডেমরা, রামপুরা, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন ওই বস্তিতে মাদক সেবন করতে যান।
আরও পড়ুন: মাদক-যৌনপল্লি-গ্যাং চালাতেন চনপাড়ার বজলু মেম্বার: র্যাব
চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের অলিগলিতে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা অনেকটা প্রকাশ্যে কেনাবেচা হয়। ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে পতিতাবৃত্তি থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই ওই বস্তিতে সংঘটিত হয় না। ৪০ হাজার ঝুপড়ি ঘরে অন্তত কয়েকশ মাদকের আস্তানা আছে। চনপাড়া বস্তিতে মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের একজনের এলাকায় অন্যজন কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলে অলিখিত নিয়ম আছে। আর এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে পুরো বস্তির অবৈধ কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে চলে খুনোখুনি।
পুলিশের রুটিন অভিযান, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান, যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযানেও বস্তিকে মাদকমুক্ত করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে এ বস্তি থেকেই মাদকের পাইকারি চালান যায় রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়। এ বস্তিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বাহিনী ও ভাড়াটে খুনি চক্র। খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি মাদক কারবারসহ সব ধরনের অপরাধে জড়িত এ বস্তির কয়েকটি চক্র। বছরের পর বছর ধরেই বস্তিটি সন্ত্রাসীদের অঘোষিত অভয়ারণ্যে পরিণত হলেও তাতে বাঁধ সাধতে পারেনি কেউ।
অভিযোগ আছে, প্রায় ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চনপাড়া বস্তির ‘ডনখ্যাত’ বজলু মেম্বার এই অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত অভিযান চালালেও মাদক বেচাকেনা বন্ধ হয়নি। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করেই এখানে সংঘটিত হতো অপরাধ।
অপরাধীদের অভয়ারণ্য চনপাড়া বস্তির কর্মকাণ্ড এতদিন পর্দার আড়ালে থাকলেও বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন খুন হওয়ার পর তা আলোচনায় আসে। এরই সূত্র ধরে গত বছরের ১৮ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে বজলু কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি। সেই থেকেই চনপাড়ায় মাদক কারবারসহ অপরাধের নিয়ন্ত্রণ কব্জা করতেই তিন থেকে চারটি গ্রুপ কয়েক মাস ধরেই দফায় দফায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ।
আরও পড়ুন: রাস্তামুখী সিসি ক্যামেরা লাগানো মানা, বন্ধ চনপাড়ার অধিকাংশ দোকান
অনুসন্ধানে জানা যায়, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ ইস্যু কেন্দ্র করে ১১ নভেম্বর র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাশেদুল ইসলাম শাহীন ওরফে সিটি শাহীন মারা যান এবং রাজু আহমেদ ওরফে রাজা র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। তারা দুজনই বজলু মেম্বারের অনুসারী। এরপর বজলুর অনুসারীরা সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ সুযোগে বজলুর প্রতিদ্বন্দ্বীরা তার ‘মাদক সাম্রাজ্য’ দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র করেই চনপাড়া বস্তিতে বার বার হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বজলু ও তার বাহিনীর অনুপস্থিতিতে চনপাড়া বস্তির মাদকসহ অপরাধের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী শমসের ও শাহাবুদ্দিন বাহিনী। অন্যদিকে বজলুর অনুপস্থিতিতে একে একে বস্তিতে ফিরতে শুরু করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা। শমসের ও শাহাবুদ্দিনের পর জয়নাল নামে আরেক মাদক কারবারিও ফিরে এসেছেন। বজলু মেম্বারের সঙ্গে বিরোধের কারণে তিনি চনপাড়া এলাকার বাইরে ছিলেন।
এদিকে, বর্তমানে শমসের ও শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে চনপাড়া বস্তিতে অর্ধশতাধিকের বেশি স্পটে মাদক বিক্রি হচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আয় হচ্ছে। টাকার লোভেই অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে হরহামেশাই বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটছে।
সর্বশেষ ১২ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শমসের গ্রুপের প্রধান শমসের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলে আবারও শুরু হয় সংঘাত। মেম্বার নির্বাচিত হয়েই তিনি বজলুর স্থান দখলে তৎপর হয়ে ওঠেন। এতে কয়েকদিন পরপরই সংঘর্ষ ঘটছে।
স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব অপরাধীদের ব্যবহার করা হয়। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধীরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। আর এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি এসব অপরাধ দমনে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে এই বস্তিতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল চনপাড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ২৩ জুন রায়হান ও জয়নাল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ৪ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জ্যোতি নামে এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হন। সর্বশেষ ২১ জুলাই রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে শমসের গ্রুপের সঙ্গে জয়নাল গ্রুপের ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত দেড় যুগে চনপাড়া বস্তিতে খুন হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৫ জন। এ সময়ের ব্যবধানে শুধু চনপাড়া এলাকার ঘটনায় মাদক কারবার সংক্রান্ত ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় হওয়া মামলার সংখ্যা দুই হাজারের ওপরে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী বজলু মারা গেছেন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়াসার ১২৬ একর জমির ওপর দেশের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙনে বাড়িঘর হারানো আশ্রয়হীন ও ছিন্নমূল জনসংখ্যাকে পুনর্বাসনের জন্য চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। আশির দশকের শুরুর দিকে এ বস্তিতে গাঁজা বিক্রি ও সেবন হতো। শুক্কুর ও আলী নামে দুই ব্যক্তি এ নেশাদ্রব্য বিক্রি করতেন। এর পরিধি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের পর থেকে মাদক পুরো চনপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দেড় যুগ আগে থেকে বজলুর রহমানের ছত্রছায়ায় এই চনপাড়া বস্তি মাদকসেবীসহ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়।
চনপাড়া বস্তির প্রায় অর্ধশতাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এক সময় ভূমিহীন ছিন্নমূল মানুষের আবাস্থল ছিল চনপাড়া পুনর্বাসন এলাকা। প্রথমদিকে আলী ও শুক্কুর নামে দুজন লোক গাঁজা সেবন ও বিক্রি করতেন। দেড় যুগ আগে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চনপাড়ার ‘ডন’ বনে যান বজলু। প্রথমে মিছিল-মিটিংয়ে লোকের যোগান দেওয়া বজলু প্রশাসন ও মদদদাতাদের ম্যানেজ করে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের অলিগলিতে মাদক, হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান-মলম পার্টি, খয়ের পার্টি, পকেটমারসহ সব অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে অপরাধের রাজ্য গড়ে তোলেন। এই বস্তির ৪০ থেকে ৫০ স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হয়। কিন্তু বজলুর অবর্তমানে এই অবৈধ আয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চার থেকে পাঁচটি গ্রুপ হরহামেশাই সংঘর্ষ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ছে। এতে এই বস্তির সাধারণ বাসিন্দাদের সবসময় ভীতি নিয়ে থাকতে হয়।
পাশের এলাকা পুর্বগ্রামের সোহেল রানা বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি অফিসের সহকারী হিসেবে কাজ করি। চনপাড়ার রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। প্রায়ই দেখি রাস্তায় গ্যাঞ্জাম, সংঘর্ষ, গোলাগুলি। রাস্তায় নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। চনপাড়া বস্তি এখন রূপগঞ্জের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে।
চনপাড়া বস্তি এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন খান উপজেলার বরাব এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তিনি বলেন, চনপাড়ার পরিবেশ খুবই খারাপ। সেখানে হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। প্রতিদিনই বস্তি এলাকায় মাদকসেবীদের আনাগোনা চলে। মাদকের বিক্রিও চলে প্রকাশ্যে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ফকির বলেন, বজলু মেম্বার থাকতে অপরাধ কর্মকাণ্ড চললেও গ্রুপে গ্রুপে সংঘর্ষ-গোলাগুলি কম ছিল। এখন অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে হরহামেশাই সংঘর্ষ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কখন, কী হয় পরিবার নিয়ে আতঙ্কে থাকি।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জায়েদ আলী বলেন, আমার পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চনপাড়া বস্তি এলাকায় কিছু লোক বিপথগামী হয়ে উঠেছে। আধিপত্য বিস্তারে প্রায়ই তারা বস্তি এলাকা উত্তপ্ত করে তুলছে। আমরা সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছি। পুলিশের অভিযানে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, চনপাড়ার অপরাধ কর্মকাণ্ডে ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শমসেরের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ১৬ প্রার্থীর সাতজনই একাধিক মামলার আসামি
এ বিষয়ে চনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মতিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অমি এখানে সদ্য যোগ দিয়েছি। ২১ জুলাই রাতে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে শমসের গ্রুপের সঙ্গে জয়নাল গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। যোগদানের পর এটাই প্রথম ঘটনা। আমরা নিয়মিত পুলিশি অভিযান পরিচালনা করছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ জাগো নিউজকে বলেন, চনপাড়া বস্তিতে অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক, অস্ত্রসহ বেশকিছু অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। তবে বস্তির তিনদিকে রয়েছে নদীপথ। এছাড়া ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরের মাঝ দিয়ে ঘিঞ্জি পথ। ভৌগলিক কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত চেষ্টার পরেও চনপাড়ার পুরোপুরি কর্তৃত্ব নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
শমসের গ্রুপের প্রধান শমসেরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নামে আপাতত কোনো মামলার ওয়ারেন্ট নেই। অন্যদিকে, সে একজন জনপ্রতিনিধি। তাকে শাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিষয়েও পুলিশ তৎপর।
এ বিষয়ে চনপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শমসেরর কার্যালয়ে একাধিকবার গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পেলেও পরিচয়য়ের পর ‘মন্ত্রীর সঙ্গে আছি, দুই মিনিট পর ফোন দিচ্ছি’ বলে কল কেটে দেন। এর পর চেষ্টা করেও তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
এএইচ/জিকেএস