সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালিতে বেড়েছে ৮ টাকা
রাজশাহীতে সপ্তাহের ব্যবধানে হালিপ্রতি ডিমের দাম ৮ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহের ৪০ টাকার লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। একইভাবে ৩৬ টাকার সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়।
বিক্রেতাদের দাবি, ঈদের পর ডিমের চাহিদা কম ছিল। তাই দামও কমে গিয়েছিল। তখন ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ৩৪-৩৬ টাকায়। চাহিদা কমে গেলে দাম আবারও কমে যাবে।
নগরীর সাহেব বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, খামার থেকে বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। ঈদের আগে ৩০-৩২ টাকা হালিতে ডিম কিনেছি। এখন সেই ডিম কিনতে হচ্ছে ৪২-৪৪ টাকায়। বেশি দামে কিললে তো বেশি দামেই বেঁচেতে হবে।
সাগরপাড়া এলাকার মুদি দোকানি লালন উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে ১০০ সাদা ডিম ৯০০ টাকায় কিনেছিলাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে তা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বেড়েছে ডিমের দাম, মাছ লাগামহীন
নগরীর নিউ মার্কেট এলাকার দোকান থেকে ৪৮ টাকা হালিতে ডিম কেনেন আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, ডিমের দামও আর স্থিতিশীল নয়। একটি ডিমের দাম যদি ১২ টাকা হয় তাহলে চলবে কেমন করে।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ৯০ টাকা। ঈদের পর রাজশাহীর বাজারে মরিচের দাম হয় ৬০০ টাকা। এরপর কমতে শুরু করেছে। এ সপ্তাহে মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকায়।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আদা ৩২০ টাকা, দেশি রসুন ২৫০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পটল ৩০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৪০, শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, সজনে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজিতে। বাজারে পাতিহাঁস পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: হঠাৎ বেড়েছে ডিমের দাম
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭২০ ও খাসি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৬০০ টাকায়। বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১০০০ টাকা, প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা, পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, দেশি কই ৬০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৬০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফ্রিন হোসেন বলেন, বাজারে ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা মনিটরিং করছি। জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/জেআইএম