কাহালু মডেল উচ্চবিদ্যালয়

ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ হয়নি, ২৩ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৫:১৯ এএম, ৩০ জুলাই ২০২৩
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান

ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়ায় বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দুষছেন।

তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিলেও শিক্ষার্থীদের নম্বর যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাঠাননি। এজন্য ওই শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ১০৮ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ২৩ জন। বোর্ড থেকে দেওয়া ফলাফলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় তাদের সবাইকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

পরে অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাহালু তাইরুন্নেছা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতায় ব্যবহারিক নম্বর যোগ হয়নি।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শনিবার (২৯ জুলাই) বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। পরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়।

সাহারা বেগম নামের এক অভিভাবক জানান, ব্যবহারিক নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রের বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাত দিয়েই দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের মার্কশিটে ব্যবহারিক নম্বর যোগ না হওয়া মানে ফেল বোঝানো হয়। কেন এমনটা হলো, তার কোনো উত্তর মিলছে না। এর দায় বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও আছে। তারা মনিটরিং করলে এমন ভোগান্তি হতো না।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহাদত জামাল বলে, আমাদের বলার কিছু নেই। সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছি। তারপরও সবকিছুই শেষ। কার কী দোষ আমরা জানি না। ভালো পরীক্ষা দিয়েও কেন নম্বর আসেনি এটা তদন্ত করে সামাধান করা হোক।

বগুড়ার কাহালু মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম এ ছালাম বলেন, ব্যবহারিক নম্বর শিক্ষার্থীদের পাওয়া ন্যায্যতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি মূল্যায়নের বর্হিপ্রকাশ। পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর বোর্ডে পাঠাননি। এজন্য আমার ২৩ ছাত্র সমস্যায় পড়েছে। এই নিয়ে বোর্ডে কথা হয়েছে। শিগগির সমাধান হবে।

এই বিষয়ে জানতে কাহালু তাইরুন্নেছা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব বেলাল উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হজরত আলী বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়া নিয়ে কেন্দ্র সচিব শিক্ষা বোর্ডকে ও কাহালু মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিবকে দোষারোপ করেছেন। এ নিয়ে এরই মধ্যে বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। রোববার দুই প্রধান শিক্ষক রাজশাহী গিয়ে বিষয়টি সমাধান করবেন।

কেএসআর/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।