মেয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না পারভীনের
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভাটারাকান্দা এলাকায় জামাই সজিবের বাড়িতে শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে বেড়াতে এসেছিলেন পারভীন আক্তার (৫৩)। শনিবার (২২ জুলাই) সকালে মেয়ে-জামাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তবে বাড়ি আর পৌঁছানো হয়নি পারভীনের। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।
ঝালকাঠিতে বাস পুকুরে পড়ে নিহত ১৭ জনের মধ্যে একজন পারভীন আক্তার। তার বাড়ি বরিশাল সদরে। তিনি বাসটিতে ওঠার পর ৫০ গজ এগোতেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইজিবাইককে সাইড দিতে গিয়ে প্রাণ গেলো বাসের ১৭ যাত্রীর
শনিবার মরদেহ শনাক্ত করতে গিয়ে ১৬টির পরিচয় পাওয়া গেলেও এক নারীর পরিচয় মিলছিল না। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ শনাক্ত করেন তার জামাই সজিব।
বরিশাল সদরের মুকেল বয়াতি ও লালজা খাতুনের বড় মেয়ে পারভীন আক্তার। রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে বরিশালে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ইউপি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধার যাত্রীদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি একটি ইজিবাইককে সাইড দিতে গেলে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ নাইম বেঁচে গেলেও মারা গেলেন বাবা
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাস বাশার স্মৃতি পরিবহন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছালে ইউপি ভবনের সামনের মোড় ঘুরতেই একটি ইজিবাইকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। প্রথমে ১৩ জন ও পরে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আতিকুর রহমান/এসআর/জিকেএস