ঝিনাইদহে অপহরণের পর শিশু হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে অপহরণের পর মনিরা খাতুন (৫) নামের এক শিশু হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে এ রায় দেন দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার অচিন্তনগর গ্রামের আছালত মণ্ডলের ছেলে মো. জাফর, খয়বার বিশ্বাসের ছেলে শিপন, কুদ্দুস মুন্সির ছেলে মিন্টু ও মুজিবার রহমানের স্ত্রী মোছা. নূপুর। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৭ জুলাই বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করা অবস্থায় মনিরা খাতুন নিখোঁজ হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় অপহরণকারী এক ব্যক্তি পরিবারের কাছে মোবাইলে কল দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। ১০ তারিখ রাত থেকে শিশুর পরিবারের কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা টাকা চাইতে থাকে। এরপর শিশুর বাবা রমজান আলী থানায় অপহরণ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপিসহ চারজনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের কারাদণ্ড
সূত্র জানায়, শিশুটি কান্নাকাটি করলে তাকে একাধিক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় অপহরণকারীরা। এতে মারা যায় শিশুটি। এরপর মৃত অবস্থায় শিশুটিকে কালীগঞ্জ থেকে এনে একটি ড্রামের ভিতর রাখার পর বস্তায় করে শিশুটির বাড়ির পাশের পাটক্ষেতে ফেলে যায়। পরে ১২ তারিখ সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশ মনিরা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত হোসেন খোকন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। এ ঘটনায় আরও কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। উচ্চ আদালতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য পুনরায় আপিল করবো।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারহানা তানি রেশমা বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাদের ইচ্ছামত সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। এখানে রায় সঠিক হয়নি। যাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
আব্দুল্লাহ আল মাসুম/আরএইচ/জেআইএম