সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
অসুস্থ নাইম বেঁচে গেলেও মারা গেলেন বাবা
আট বছরের ছেলে নাইমকে ডাক্তার দেখাতে বরিশালের বাসে উঠেছিলেন পিরোজপুরের দক্ষিণ ভান্ডারিয়ার বাসিন্দা তারেক (৪০)। ভান্ডারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ৯টায় বাশার স্মৃতি পরিবহন নামের বাসটির যাত্রী হন তারা। সারা পথে খুব ধীরে গাড়ি চালানোয় যাত্রী সংগ্রহে নির্ধারিত সময়ের বেশিরভাগই শেষ হয়ে যায়। পরে বেপরোয়া গতিতে চলতি শুরু করে গাড়িটি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছালে গতি না কমিয়ে একটি ইজিবাইকে সাইড দিতে গেলে বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। এ ঘটনায় বাসের ১৭ যাত্রী নিহত হন। জীবিত ২৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ইজিবাইককে সাইড দিতে গিয়ে প্রাণ গেলো বাসের ১৭ যাত্রীর
এদের মধ্যে তারেক মারা গেলেও শিশু নাইমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারেককে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আহাজারি করতে করতে এসব বলছিলেন নিহত তারেকের ভাই সাগর। সাগর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না নিপার
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বৈশাখী বড়াল দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৩ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যেও কয়েকজন আশঙ্কাজনক রয়েছেন।
আতিকুর রহমান/এসআর/এএসএম