হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ চালুর দাবি

ডিসির আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা। সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ চালুর দাবিতে এ অনশন করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুমকে পানি ও শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙান জেলা প্রশাসক। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দারকে শরবত ও পানি পান করান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান, জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: শরীরে স্যালাইন নিয়েও দাবি আদায়ে অনড় অনশনকারীরা

এছাড়া সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ জোয়ার্দ্দার, সদর উপজেলার সদস্য সচিব শাহাজান আলী ও সদস্য জান্টু মিয়সহ উপস্থিত সবাই তাদের অনশন ভাঙেন।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুম বলেন, জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আমরা আমরণ অনশন থেকে সরে এসেছি। নিজ হাতে পানি পান করিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছেন। তবে তারা দুই মাস সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো আন্দোলন শুরু হবে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, শুধু এই জেলায় না। এরকম নতুন স্থাপনা দেশের অনেকগুলো নির্মিত হয়েছে। এসব জেলায় একই সঙ্গে কার্যক্রম শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গায় প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে কি না তত্ত্বাবধায়ক বলতে পারবেন। এরপর লাগে বাজেট বরাদ্দ। তবে অনশনকারীদের বিষয়টা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ চালুর দাবিতে অনশন

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, আমি দুবার চিঠি দিয়েছি ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট বিভাগে। সেখান থেকে জানানো হয়েছিল নতুন অর্থবছরে বিষয়টি দেখবেন। বুধবারও মিনিস্ট্রিতে কল করেছি, সেখান থেকে জানানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে।

ডিসির আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা পর্যালোচনা করেছি তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আসলে যারা জনস্বার্থে ও মানবতার পক্ষে এ দাবিগুলো তুলেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং একই সঙ্গে তাদের দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি।

ডিসি আরও বলেন, যেহেতু আমাদের ২৫০ শয্যার সব কিছুর অনুমোদন হয়ে গেছে। ধাপে ধাপে সব কার্যক্রম শুরু হবে।

কত দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন হবে অনশনকারীদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, দুমাস আমরা সময় চেয়ে নিচ্ছি। স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ আছে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেলে জনবল আমরা পেয়ে যাবো। তখন সব কার্যক্রম পরিচালনা হবে।

১৮ জুলাই সকাল থেকে সদর হাসপাতাল চত্বরে আমরণ অনশন শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতাকর্মীরা। এর আগে অনশন চলাকালে বুধবার তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা চিকিৎসা শেষে শরীরে স্যালাইন দিয়ে অনশন চালিয়ে যান। আজ জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে অনশন থেকে সরে আসলেন তারা।

হুসাইন মালিক/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।