পৌর নির্বাচন

ভোট কারচুপির অভিযোগ নৌকা প্রার্থীর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৩
ফাইল ছবি

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট পৌরসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও গণনায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন নৌকার মেয়র প্রার্থী মো. জাকির হোসেন দুলাল।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে গোসাইরহাট পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদের কাছে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন তিনি।

জানা যায়, ১৭ জুলাই নবগঠিত গোসাইরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আউয়াল সরদার (নারকেল গাছ প্রতীক) ৩ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের জাকির হোসেন পান ২ হাজার ৯৯৫ ভোট। পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সোহেল সামাদ বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গোসাইরহাট পৌরসভার ৭ ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণে অনিয়ম করেছেন দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। সব কেন্দ্রে বিকেল ৪ টায় ভোট শেষ হলেও ওই তিনটি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলমান থাকে। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরও একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তা পেয়ে অনিয়ম করেছেন। কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল নির্দিষ্ট একজনের পক্ষে নেওয়ার জন্য সব কৌশল অবলম্বন করেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। তাই ল্যাবটেস্টসহ ইভিএম মেশিনের ভোট পুনঃগণনা করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

এ বিষয় জাকির হোসেন দুলাল বলেন, আমাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা মার্কা নিয়ে পাঠিয়েছেন গোসাইরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করতে। গোসাইরহাট পৌরসভা হলো আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হলেও নির্বাচনের কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আমার তিনটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা দিতে গড়িমসি করেছে দীর্ঘসময়। আর ভোটগ্রহণেও অনিয়ম করা হয়েছে। তাই আমি গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী ল্যাবটেস্টসহ ইভিএম মেশিনের ভোট পুনঃগণনা করে গেজেট প্রকাশের জন্য আবেদন জানিয়েছি। আজকে নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি। পুনরায় সঠিকভাবে ভোট গণনা করা হলে নৌকার বিজয় হবে।

অভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদ জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ আমাদের কাছে দিয়েছে ঠিক আছে তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং রায় দেবে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল। গেজেট প্রকাশ হওয়ার পরে তাদের মামলা করতে হবে। পরবর্তীতে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দিলে তখন দেখা যাবে কী হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী গোসাইরহাট পৌরসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে।

এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।