সজিব হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক: এসপি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা সজিব হোসেন হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক। পুলিশ বা কারও গুলিতে নয়, ধারালো অস্ত্র বা ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এসপি আশরাফ বলেন, মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সজিব আহত অবস্থায় ফিরোজা ভবন নামে একটি বাসায় ঢুকে পড়ে। মৃত্যুর আগে সেখানকার এক ব্যক্তির সঙ্গে সজিবের কথা হয়েছে। সজিব ওই ব্যক্তিকে বলেছে, তিনি বিএনপির প্রোগ্রামে আসেননি। চার-পাঁচজন লোক তাকে কুপিয়েছে। তার কাছে তারা টাকা পায়। তিনি বিয়েও করেছেন। এরপর সজিব আর কোনো কথা বলতে পারেননি। ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা ৯৯৯-এ কল করে সজিবের চিকিৎসার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চান। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স চালককেও কল করেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে হামলার ঘটনার কারণে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যেতে পারেননি।

আরও পড়ুন: নিহত সেই যুবক কৃষকদল নেতা, আহত শতাধিক

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগেই প্রচুর রক্তক্ষরণে সজিব মারা যান। বিএনপির হামলায় ২৫-৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তারা হাসপাতাল ও দোকানঘর ভাঙচুর করেছে। তারা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

তবে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না এবং কত রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, গুলি ছোড়া হয়েছে তাও জানাননি এসপি।

আরও পড়ুন: কৃষকদল নেতা নিহতের ঘটনায় দেশব্যাপী কর্মসূচি দেবে বিএনপি: এ্যানি

বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার পর লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা সজিব হোসেন হত্যাকাণ্ড ঘটে। সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকদলের সদস্য।

কাজল কায়েস/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।