ভোটকেন্দ্রে হামলা
বিজিবির মামলা, গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গ্রাম
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ টেপাখড়িবাড়ি পন্ডিতপাড়া গ্রাম।
পুলিশ জানায়, সোমবার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপাখড়িবাড়ি পন্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফলাফলে অসন্তোষ হয়ে সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী ফেরদৌস মিয়ার সমর্থকরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন। এ সময় ফেরদৌস সমর্থকরা গাড়িও ভাঙচুর করেন। পরে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে বিজিবির করা মামলায় অজ্ঞাত ৪০০ জন আসামি থাকায় গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়। অনেকে সপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
ওই এলাকার নুর নাহার বেগম বলেন, এলাকায় কেউ নাই। আমার আত্মীয় ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। রাতে কোনো পুরুষ বাড়িতে ছিল না। সবাই আমরা ভয়ে আছি।
এ বিষয়ে ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিজিবির করা মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচনের পর থেকে আমি অসুস্থ থাকায় খোঁজ নিতে পারিনি। আর আমার বাসা নদীর এপাড়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. লিখন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে আমার এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিজিবির ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রামের সাধারণ মানুষ ভয়ে আছে। রাতে বাড়িতে থাকতে পারছে না। কখন কি অবস্থা হয় এই ভেবে।
রাজু আহম্মেদ/এসজে/এএসএম