কিশোরগঞ্জে ভাই-বোন হত্যা
প্রধান আসামি চাচা আত্মসমর্পণের পর কারাগারে
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ভাই-বোন হত্যা মামলার প্রধান আসামি চাচা আব্দুল কাদির (৪৪) ঘটনার তিনদিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি মো. আব্দুল কাদির হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা গ্রামের মরহুম হোসেন আলীর ছেলে।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত আরা আক্তারের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গ্রেফতার আব্দুল কাদিরের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের জামিন হয়েছে বলে জানিয়েছন আদালত পরিদর্শক মো. আবু বকর সিদ্দিক। তবে আব্দুল কাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু।
পুলিশ জানায়, জেলার হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সীমানা নিয়ে আব্দুল কাদিরের সঙ্গে বড়ভাই মো. শামসুল ইসলামের বিরোধ ছিল। ১২ জুলাই বিকেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে কয়েকটি চারাগাছ রোপনকে করেন আব্দুল কাদির। সীমানায় গাছের চারা রোপনকে কেন্দ্ৰ করে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরদিন ১৩ জুলাই ভোরে আর কিছু চারা লাগাতে গিয়ে আব্দুল কাদির দেখেন, তার আগের লাগানো চারাগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শামসুল ইসলামের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত ছোটবোন নাদিরা আক্তার (২১) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়ে মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শামসুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা আক্তার, দুই ছেলে হুমায়ুন কবীর ও সালমান।
এ ঘটনায় শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় ছোট ভাই আব্দুল কাদিরকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে মামলা করেন। মামলায় আব্দুল কাদির ছাড়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন কাদিরের ছেলে ইমরান, আরমান ও অপ্রাপ্তবয়স্ক অপর ছেলে। পলাতক আছেন কাদিরের অপর ভাই মুসলিম ও মুসলিমের ছেলে মাসুম।
গ্রেফতারদের মধ্যে ইমরান ও আরমান রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত আরার আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসকে রাসেল/এমএএইচ/