বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যা আতঙ্কে সারিয়াকান্দির হাজারো পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৩

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বাড়ছে যমুনার পানি। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এ পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটছে চরাঞ্চলের হাজারো পরিবারের।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ গত ৯ জুলাই থেকে সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। সেদিন সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ৯৮ মিটার। এর আগের দিন ৮ জুলাই পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ৯৩ মিটার। এরপর ১০ জুলাই ১৪ সেন্টিমিটার, ১১ জুলাই ১০ সেন্টিমিটার এবং ১২ জুলাই ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর পরদিন ১৩ জুলাই ২৬ সেন্টিমিটার বেড়ে পানির উচ্চতা হয় ১৫ দশমিক ৫৯ মিটার। এরপর শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত মথুরাপাড়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে উচ্চতা হয় ১৫ দশমিক ৮৪ মিটার। সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। ফলে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরেই পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, হাটশেরপুর, সদর ও চন্দনবাইশা ইউনিয়নের বাসিন্দারা বন্যার আতঙ্কে আছেন। এসব ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী ১২২টি চরের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হতে শুরু করেছে। তারা বাড়িঘর থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া চরের ইউপি সদস্য মোহন মিয়া বলেন, পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার যমুনা চরে বসবাসরত এলাকাবাসী তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ছোট কুতুবপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন (৬৫) বলেন, গত কয়েকদিনে পানি বেড়ে আমার বাড়ির চারপাশে পানি এসেছে। আমার বাড়ির প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং গৃহপালিত পশুপাখিগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এভাবে পানি বাড়লে দু-একদিনেই বাড়িতে পানি উঠবে।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী ছয়দিন সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৮ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যেই পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

সারিয়াকান্দির ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক বলেন, এলাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যে কোনো বড় ধরনের বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।