এবার ৩ দফা দাবিতে সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস-মিনিবাস বর্জন
উত্তর সিলেটের তিন উপজেলার ১৭ পরগনার সভা থেকে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল হককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে বৃহত্তর জৈন্তিয়া বাস-মিনিবাস বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে জৈন্তিয়া ১৭ পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবু জাফর আবুল মৌলা চৌধুরী বলেন, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ৩টায় ঐতিহাসিক জৈন্তাপুর বটতলা মাঠে জৈন্তিয়া ১৭ পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান আমাদের চলমান আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে পরিবহন শ্রমিক নেতা মইনুল হকের এক ভিডিও বার্তায় জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেফতার ও ১৭ পরগনাকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদ, জৈন্তিয়া ডিগ্রি কলেজ, শাহজালাল (রা.) ডিগ্রি কলেজ, জৈন্তাপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর বুধবার দিনব্যাপী সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করলেও ওই রোডের যাত্রী সাধারণ গাড়িতে ওঠেননি। তারা ১৭ পরগনার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বাস-মিনিবাস বর্জন করেন। যার কারণে বাসগুলো ফাঁকা সিট নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এসময় জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান, জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, গোয়াইনঘাট উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা কয়েছ আহমদ, উপাধ্যক্ষ শাহেদ আহমদ, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ফখরুল ইসলাম, চিকনাগুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম জাকারিয়া, শালিস ব্যক্তিত্ব আলমাস মাস্টার, মাওলানা কবির আহমেদ, ফয়েজ আহমেদ, আবদুল মতিন শাহিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, কুতুবউদ্দিন, তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে যান চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
গত শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা ধর্মঘটের ডাক দিয়ে আবার প্রত্যাহার করে। কিন্তু সোমবার থেকে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের বাস-মিনিবাস আটকে দেওয়ার অভিযোগে পাল্টা ধর্মঘটের ডাক দেয়। টানা ৪০ ঘণ্টা এ মহাসড়কে ধর্মঘট পালনের পর মঙ্গলবার রাত ১০টায় সেটি প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিক নেতারা। পরে ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে এ মহাসড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করলেও জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দারা বাস-মিনিবাসগুলোকে বর্জন করে গাড়িতে ওঠেননি।
ছামির মাহমুদ/আরএইচ/জেআইএম