স্থায়ী বাঁধের দাবিতে সড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৩

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আশঙ্কাজনক হারে পানি বাড়ার ফলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বসতভিটা, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনরোধে ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা।

সোমবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন ভাঙনের শিকার শত শত পরিবার। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

স্থায়ী বাঁধের দাবিতে সড়ক অবরোধ

এর আগে বেলা ১১টার দিকে নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডল ও স্থানীয় কয়েকটি এলাকার ইউপি মেম্বাররা মানববন্ধনে উপস্থিত হন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন। তিনি ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী সোনা মণ্ডল ও শফিকুল বলেন, প্রায় একমাস ধরে এ এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে আমাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এলাকার অসংখ্য পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

স্থায়ী বাঁধের দাবিতে সড়ক অবরোধ

তারা আরও বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজ নিজ বাড়ি রক্ষায় তদবির করে জিও ব্যাগ ফেলছেন। এ নিয়ে কিছু বলাও যায় না। ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।

নিকরাইল পরিষদের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর পাটিতাপাড়া, মাটিকাটা, কোনাবাড়ি, পলশিয়া, দোভায়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা যায়। এবারও ব্যাপক হারে নদীর তীর ভাঙছে। এরই মধ্যে অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে দ্রুততম সময়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে অচিরেই নদীপাড়ের গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, যারা বসতভিটা হারিয়েছেন তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।