রাস্তা নয়, যেন মরণফাঁদ!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৯:১২ এএম, ০৯ জুলাই ২০২৩

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাটিভাঙ্গা পাওতা সড়কের নাঙ্গুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কালভার্ট সংলগ্ন রাস্তাটি ভেঙে সৃষ্টি হওয়া গর্ত এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পণ্যবাহী গাড়ি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান, ইজিবাইকসহ যাতায়াত করে হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নাঙ্গুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তাটি ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে একপাশ দিয়ে চলাচল করতে পারলেও যানবাহন চলাচল অসম্ভব। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কখনো গাড়ি উল্টে পড়ে যাচ্ছে খাদে আবার কখনো পথচারী ছিটকে পড়ছে গর্তে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাফসান তালুকদার বলেন, এটি উপজেলা ও জেলা শহরের সঙ্গে প্রধান সংযোগ সড়ক। কুলকাঠি, তৌকাঠি, পাওতা, আখড়পাড়া, হাড়িখালী, বৈচন্ডী ও নাঙ্গুলি গ্রামের মানুষের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, থানা, হাটবাজার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মাদরাসা, কওমি মাদরাসা ও সরকারি ডিগ্রি কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের মাধ্যম এই সড়ক। এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই।

আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অসহায়দের ঘোড়া উপহার

গাড়িচালক শামিম বলেন, সড়কে বড় গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের। প্রতিদিন এখানে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে অনেকেই আহত হয়েছেন। ভাঙা গর্ত বড় হতে হতে এখন এই সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ বলেন, নলছিটিতে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এ জন্য প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাতে বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার গর্তের কারণে দুর্ঘটনা হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবীর বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙা সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

মো. আতিকুর রহমান/জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।