বাঁধ নিয়ে উত্তরে শঙ্কার মেঘ
বন্যা আসন্ন। এরই মধ্যে বেড়ে গেছে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি। উজান থেকে আসা ঢল শঙ্কায় ফেলেছে নদীপাড়ের লাখ লাখ মানুষকে। এবার জুলাইয়ের শেষ দিকে বন্যা হানা দিতে পারে বলে মনে করছেন নদী বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনো এ অঞ্চলের প্রতিরক্ষা বাঁধের অনেক স্থান মেরামত করা হয়নি। শত কিলোমিটারের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ দিয়ে বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আগামীতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। দেশের কোথাও কোথাও পানির পরিমাণ বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলের বেশকিছু নদীর পানি খানিকটা বেড়েছে। পানি বাড়তে থাকলে লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে বন্যার জন্য পুরোপুরি দেশের বাইরে উজান থেকে নেমে আসা ঢলকেই দায়ী করেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম বড়ুয়া। তার মতে, ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, বরাক এলাকার পানি নেমে আসার কারণেই বেশিরভাগ বন্যা হয়। গত বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে হয়েছিল। সেই পানির কারণেই বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি হয়। এবারও একই ধরনের আশঙ্কা রয়েছে। যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের মতো প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে সেটা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে বন্যার শঙ্কা, বেশি থাকতে পারে তাপমাত্রা
নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালটি বন্যার জন্য ঝুঁকির বছর। কারণ অতীতে প্রতি পাঁচ বছর পরপর বড় ধরনের বন্যার কবলে পড়েছে দেশ। সেই হিসেবে ২০১৭ সালের পর ২০২৩ সালটা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।
পাউবো সূত্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র ডান তীর (যমুনা) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রকল্পের উৎপত্তিস্থল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা থেকে পাবনার বেড়া উপজেলা পর্যন্ত মোট ২১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। বর্তমানে এ বাঁধে অগ্রাধিকার প্রকল্প ডেল্টাপ্ল্যানের আওতায় বেশকিছু কাজ চলছে। তারপরও বর্তমানে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বলে চিহ্নিত রয়েছে। অনেক স্থান গত বছর থেকে চিহ্নিত থাকলে অর্থাভাবে সেটি মেরামত করা যায়নি। এবার এই ঝুঁকি নিয়েই আসন্ন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে তাদের।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, বগুড়া অংশে মোট ৪৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৭৯টি পয়েন্টে ২১ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর মেরামত কাজে ৮৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হলে মাত্র ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এখন বাকি টাকা না পেলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে বন্যা মোকাবিলা করতে হবে। জরুরি কাজের জন্য তাদের হাতে রয়েছে মাত্র সাড়ে ১৩ হাজার জিও ব্যাগ।
পাউবোর তথ্য বলছে, দেশের ৩৩ জেলা লাল দাগে রয়েছে। এর মধ্যে উত্তরের জেলা রয়েছে আটটি। এসব জেলায় নড়বড়ে বাঁধ রয়েছে ১০০ কিলোমিটারের ওপরে। একটানা বৃষ্টি হলে ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁধ টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। জেলাগুলো হলো কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ।
আরও পড়ুন: বিপৎসীমায় ওঠানামা করছে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা
তিন বছর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভয়াবহ নদীভাঙন থেকে রক্ষায় দেশের ৩৩টি জেলাকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে সরকার। প্রকৃতির ভয়াবহতা ও বিপজ্জনক বিবেচনায় গোটা দেশকে ছয় ভাগ করা হয়। এরপরও জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কার এবং মেরামত কাজ এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি পাউবো।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ৩৩ জেলার নদীভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতি নির্ধারণ করে জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ৬৮.৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীতীর ভাঙন রোধ, নদীতীর সংরক্ষণ কাজের ক্ষতি, বাঁধের ব্রিজ, সম্পূর্ণ ও আংশিক ভাঙন এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। আরও ৮৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৯.০৩ কিলোমিটার নদীতীরের মেরামত ও পুনর্বাসন কাজ চলছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে পাউবোর বাস্তবায়নাধীন ১০১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৩টি নদীতীর সংরক্ষণধর্মী প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব প্রকল্পের অনেক স্থানে কাজ এখনো শুরু করতে দেখা যায়নি।
এদিকে যমুনার প্রবল ঘূর্ণাবর্তের কারণে বেলকুচির খিদ্রচাপড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি গত রোববার বিলীন হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহম্মেদ নয়ন জানান, ২০০৮ সালে প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঠদান ভবন-কাম-বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মিত হয়। চলতি বছর বর্ষার আগে বিদ্যালয় ভবনটি নদীভাঙনে হুমকির মুখে পড়ে। আশপাশে অর্ধশত ঘরবাড়িও বিলীন হয়। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে পাউবোসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়। এরই মধ্যে যমুনা গর্ভে বিলীন হয় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: দেবে গেছে ৬৮১ কোটির বেড়িবাঁধ, কিছু অবকাঠামোর নাট-বল্টু গায়েব
‘বেলকুচির মেহেরনগর থেকে চৌহালীর এনায়েতপুর স্পার পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার অংশে পাউবোর শতকোটি টাকা ব্যয়ে তীররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারদের গড়িমসিতে শেষ পর্যন্ত রক্ষা হলো না আমাদের বিদ্যালয়টি’ বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন এ শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনায়েতপুরের খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম-টু-মনাকোশা পর্যন্ত সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশে ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাউবোর তীররক্ষার কাজ চলছে। চলমান কাজে প্রচণ্ড গড়িমসি থাকায় আরকান্দি ও হাঁটপাঁচিল অংশে যমুনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই মাসে অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে।
জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজি সুলতান মহামুদ এবং খুকনী ইউনিয়নের আরকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও রতন সরকার জাগো নিউজকে জানান, ঈদের আগে থেকে চলমান কাজে প্রচণ্ড ধীরগতি থাকায় ভাঙন থেকে রক্ষায় তীররক্ষা বাঁধটি কাজে আসছে না। যমুনাবিধৌত চৌহালীর বাগুটিয়া, উমারপুর, স্থল ও সোদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নে বর্তমানে ভাঙন রয়েছে।
তারা জানান, উমারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শৈলজানা জিপিএস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধুপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোড়জান ইউনিয়নের চর মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদালয় ও বাগুটিয়া ইউনিয়নের পহেলা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত এক সপ্তাহে যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামলেও কমেনি দুর্ভোগ
বন্যা প্রস্তুতি হিসেবে এ অঞ্চলে ছয়টি প্যাকেজে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ লাখ জিও ব্যাগে বালির বস্তা নিক্ষেপের কাজ শুরু হয়েছে। পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার দাবি করেন, সিরাজগঞ্জ জেলার প্রায় ৮০ কিলোমিটার বাঁধের সব স্থানেই তীররক্ষা বাঁধ রয়েছে। কোথায়ও অরক্ষিত নেই। জেলার বেলকুচি, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে ভাঙন থাকায় সেখানে জরুরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নিয়েছে পাউবো। কাজিপুর উপজেলার পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশে ৫০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তীর সংরক্ষণ কাজ গত অর্থবছর থেকে চলমান। ওই কাজের প্রায় ৬০ শতাংশ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
একইভাবে কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা নদীর পাড়ে ১৯৮ কিলোমিটারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে পানির স্রোতে ৩৬ কিলোমিটার বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হওয়া বাঁধগুলো হলো ধরলা পাড়ের ভোগডাঙ্গা, সোনাইগাজি, শুলকুর বাজার, পাঁচগাছি, বুড়ির হাট ও বজরায়।
বর্ষার জন্য ধরলার মাঠের পাড়, সারডোব, রাঙ্গামাটি মৌজা, শুলকুর বাজার একাংশ কাজ চলমান থাকলেও একটি কাজ স্থগিত রয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধরলা বাম তীর নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ১৬.৬০ কিলোমিটারজুড়ে ৫১.১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাজটি শুরু করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, ১৭.৯০ কিলোমিটারজুড়ে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলোতে মেরামত কাজের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কাজের অগ্রগতি ২৫ শতাংশ। বর্তমানে পানি বেড়ে যাওয়ায় কাজগুলো স্থগিত হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে পানি, নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, তিস্তা নদী তীরবর্তী ২৯ কিলোমিটার ও ধরলা তীরবর্তী ১৮.৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, বাঁধের বেশকিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ। ভাঙন ঠেকাতে পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ মজুত রয়েছে।
এদিকে গাইবান্ধায় তিস্তা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদের ৭৮ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাঁধ সংলগ্ন নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার মানুষ নদীভাঙন ও আকস্মিক বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন।
১৯৬২ সালে জেলার উত্তরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণে সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়ন পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুরঘাট থেকে গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নতুন মেরামত করা হয়েছে। এরমধ্যে উদাখালীর হাজীরহাট থেকে সিংড়িয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধের পার সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধা হয়েছে। কিন্তু সিংড়িয়া থেকে কাতলামারী পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এছাড়া কাতলামারী বাঁধের মাথা থেকে শুরু করে গজারিয়া ইউনিয়নের নীলকুঠি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার মিনি বেড়ি বাঁধটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি থেকে সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি ও হলদিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ দুই উপজেলার প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে ৩৮টি প্যাকেজে ৩৮টি পয়েন্টে ৭৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এসব পয়েন্টে পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। বর্তমান প্রকল্প এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এসআর/এএসএম