পাইকার সংকট

কাঁচা মরিচ আমদানি করে বিপাকে ৩ ব্যবসায়ী

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৩

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চারটি ট্রাকে ২৯ টন ৬৮০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করেছেন তিন ব্যবসায়ী। তবে বন্দরে পাইকার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

বুধবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার ট্রাক কাঁচা মরিচ বন্দরে প্রবেশ করে। এরমধ্যে সততা বাণিজ্যালয় দুই এবং সম্পা ও বিকে ট্রেডার্স দুই ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে। এ চার ট্রাকে কাঁচা মরিচ এসেছে ২৯ টন ৬৮০ কেজি।

কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় মরিচবোঝাই এসব ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশের পরপরই শুল্কায়ন শেষে দ্রুত ছাড় দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

তবে আমদানি করা মরিচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমদানিকারকরা। বন্দরে পাইকার না থাকায় বন্দর থেকে নিজেরাই আমদানি করা এসব কাঁচা মরিচ রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা শহরের মোকামে পাঠাচ্ছেন।

আমদানিকারক হবিবর রহমান বলেন, ‘পাইকার ও ক্রেতা না থাকায় নিজস্ব চালানে আমরা মরিচ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাচ্ছি। তবে টানা বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’

কাঁচা মরিচ আমদানি করে বিপাকে ৩ ব্যবসায়ী

আরেক ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, ‘গত কয়েকদিন পাইকার ছিল তবে মরিচ আমদানি সম্ভব হয়নি। আজ আমদানি হয়েছে কিন্তু পাইকার ও ক্রেতা নেই। নিরুপায় হয়ে এখন নিজেরাই বিভিন্ন মোকামে কথা বলে মরিচগুলো বাজারজাত করছি।’

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছুটি শেষে আজ প্রথম বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ এসেছে। আমরা দ্রুততম সময়ে শুল্কায়ন করে ছাড় দিচ্ছি। শুল্কায়ন শেষে এসব কাঁচা মরিচ বন্দর থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।

কোরবানির ঈদের টানা ছয়দিন ছুটি শেষে গত ২৭ জুন শুরু হয় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর বন্দর চালুর প্রথম দিনেই এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির কথা থাকলেও তা হয়নি। দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় কাঁচা মরিচ আমদানি করা থেকে বিরত থাকেন আমদানিকারকরা। সবশেষ আজ কাঁচা মরিচ আমদানি করলো তিন প্রতিষ্ঠান।

এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।