কেন্দুয়ায় ঈদগাহে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় একটি ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল সরেজমিন পরিদর্শন করে চারিতলা গ্রামের মুসল্লিদের মৌখিকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নে চারিতলা গ্রামের ঈদগাহ মাঠের ঈমাম মাওলানা জাহের উদ্দিন মারা যাওয়ার পর গত বছর থেকে ঈমাম নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এনিয়ে গ্রামে তাহের উদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম শফিক নামে দুটি গ্রুপ তৈরি হয় এবং দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও সংঘর্ষের রূপ নেয়।
ঈদুল ফিতরের সময় মাঠে দু’গ্রুপ পৃথক পৃথক ঈমাম নিয়োগ করে। এক গ্রুপের মুসল্লিরা অপর গ্রুপের ঈমামকে মেনে নেননি। বিভক্ত অবস্থায় ঈদের নামাজ আদায় করেন গ্রামের মুসল্লিরা।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদগাহে নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঈদের দিন নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ খুবই বিপাকে আছেন। ঈদ এলেই মাঠকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলে গ্রামবাসী ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন।
স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, আমরা মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে পারবো না জেনে খুবই আহত হয়েছি। এ ঘটনায় আমাদের গ্রামে ঈদের আমেজ নেই বরং উৎকণ্ঠায় আছি।
চারিতলা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ জানান, ঈদগাহ মাঠ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ইউএনও মাঠে নামাজ না পড়ার জন্য মুসল্লিদের নিষেধ করেছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা পরিস্থিতি নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল জানান, ঈদগাহ মাঠে মিলেমিশে নামাজ পড়ার মতো ভালো পরিস্থিতি নেই। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাদেরকে বিকল্প অবস্থায় অথবা সুবিধামতো মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য বলা হয়েছে।
এইচ এম কামাল/এফএ/এএসএম