সিলেট সিটি নির্বাচনে কখনো হারেননি তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২৩ জুন ২০২৩

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০২ সালে। এরপর থেকে অনুষ্ঠিত প্রতিটি সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসছেন তারা। সবশেষ ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিসিকের পঞ্চম নির্বাচনে টানা পাঁচ মেয়াদে বিজয়ী হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চারটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এ চার কাউন্সিলরের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগ ও একজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

টানা পাঁচবারের মতো নির্বাচিত কাউন্সিলররা হলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মখলিছুর রহমান কামরান, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শান্তনু দত্ত সনতু এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদুর রহমান আজাদ।

এরমধ্যে টানা ছয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন সনতু। সিলেট সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর পদে পঞ্চমবারের মতো এবং তৎকালীন সিলেট পৌরসভায় একবার কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৯৫ সালে পৌরসভা থাকাকালীন প্রথম কমিশনার নির্বাচনে প্রার্থী হন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শান্তনু দত্ত সনতু। এরপর পৌরসভা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনে রূপান্তর হলে তিনি ২০০৩, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৩ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

২০ নম্বর ওয়ার্ড পরপর পাঁচবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের রেকর্ড আজাদুর রহমান আজাদের দখলে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আজাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। এবার প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরানও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর। ২০০৩ সাল থেকে পাঁচটি নির্বাচনে তিনিও টানা জয়লাভ করেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বর্তমান কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন তিনি। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে টানা পাঁচবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার কীর্তি তারও।

এদিকে ২০০৮ সাল থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে একবারও পরাজিত হননি সাংবাদিক রেজওয়ান আহমেদ। তিনি টানা চতুর্থবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (২১ জুন) লক্ষাধিক ভোট পেয়ে সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আনোয়ারুজ্জামান ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৪২ ওয়ার্ডে এ সিটিতে এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০, নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

সিলেট সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

২০০২ সালে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। সবশেষ বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে এখন মোট ওয়ার্ড ৪২টি।

সিসিকের সব ওয়ার্ডে এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবারই সবচেয়ে কমসংখ্যক ভোট কাস্ট হয়েছে। যা মোট ভোটের ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।

ছামির মাহমুদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।