ধর্ষণের শিকার ৫ বছরের শিশু, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মোবাইলে কার্টুন দেখানোর কথা বলে ঘরে ডেকে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে তানভীর নামে প্রতিবেশী এক যুবক। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের বেলেমাঠপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে মেডিকেল টিম গঠন করে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় অস্ত্রোপচার করা হয়। শিশুটি এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন শিশুকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।
অস্ত্রোপচারকারী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন বলেন, শিশুটিকে উপর্যুপুরি ধর্ষণ করা হয়েছে। এতে তার গোপনাঙ্গ মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় অস্ত্রোপচার করে সফল হয়েছি। এখনো সে আশঙ্কামুক্ত নয়। আমাদের অবজারভেশনে আছে।
শিশুটির মামা বলেন, আজ দুপুরে তানভীর নামের ওই বখাটে আমার ভাগনিকে মোবাইলে কার্টুন দেখানোর কথা তাদের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে আমার ভাগনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তানভীর বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সে বাড়ি এসেই তার মাকে রক্তক্ষরণের কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে আমরা তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর ডাক্তাররা কয়েকজন মিলে দ্রুত অপারেশন করেছেন। এখন আমার ভাগনি হাসপাতালে ভর্তি।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষক তানভীর এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে বোনের প্রতিবেশী। আমি এ ঘটনায় লম্পটের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, শিশুটির দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই ও তাদের প্রতিবেশী তানভীর নামের এক বখাটে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা শিশুটির খোঁজ রাখছি। একই সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে আমাদের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
হুসাইন মালিক/এফএ/জেআইএম