১২০০ কেজির সুলতানের দাম ১০ লাখ
এক সপ্তাহ পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। জেলার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ‘সুলতান’র নাম। ১০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার এ ষাঁড়টির ওজন ১২০০ কেজি। দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।
বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাগা গ্রামের কামাল এগ্রো পার্কের খামারে।
খামারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি বড় বড় গরু রয়েছে খামারে। কোরবানির জন্য এখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩০টি পশু। গরুগুলোর ওজন সাড়ে ৩শো থেকে ১২শো কেজি। মাত্র ২ বছর ৩ মাস লালন-পালনে খামারে সুলতানের লাইভ ওয়েটে ওজন হয়েছে ১২০০ কেজি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার গো-খাদ্য খাওয়ানো হয় সুলতানকে।
কামাল এগ্রো পার্কের মালিক শেখ কামাল হোসেন বলেন, শখের বসে করোনার সময় ফকিরহাটের বেতাগা পশুহাট থেকে এক বছর বয়সী হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকায় কেনা হয়। সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে সঠিক পদ্ধতিতে পশুটি পালন করা হচ্ছে। মাত্র ২ বছর ৩ মাসে সুলতানের লাইভ ওজন ১১৮৩ কেজি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার খড়, ঘাস ও ভুষিসহ দেশীয় খাবার খায়ানো হয়।
তিনি আরও বলেন, শখের বসে পশু লালন-পালন করা হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা খামারের সবচেয়ে বড় গরু সুলতানকে ঈদে ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এই খামারে মোট ৪৮টি পশু রয়েছে।
প্রতিবেশী আবু তালেব বলেন, বিশাল আকৃতির গরু সচরাচর আমাদের এলাকায় দেখা যায় না। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই সুলতানকে দেখতে আসছেন। দর-দামে এখনও মিলছে না। তবে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ক্রেতারা সুলতানকে দেখতে ভিড় করবে।
বাগেরহাট রামপাল উপজেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রাথমিক পশুচিকিৎসক মো. এনামুল আকুঞ্জি বলেন, দেশি ও বিদেশি জাতের বিভিন্ন গরু লালন-পালন খামারিদের আমরা বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমার জানামতে এত বড় গরু জেলার মধ্যে আর কোথাও নেই।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, এবার জেলায় ৮ হাজার খামারে ১ লাখ ২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে বাগা গ্রামের কামাল এগ্রো পার্কের খামারের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ বেশি। আমার জানামতে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু সুলতান।
এফএ/জেআইএম