কম খরচে যাওয়া যাবে ভারতে

৩ বছর পর চালু হলো নাকুগাঁও-ডালু ইমিগ্রেশন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৭:৪২ পিএম, ২২ জুন ২০২৩

তিন বছর বন্ধ থাকার পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও-ডালু ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের পক্ষ থেকেই ইমিগ্রেশন চালুর নির্দেশ এলেও নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনে কম্পিউটারে সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ শেষ না হওয়ায় আজ থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হলো। এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডালু যাওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে নাকুগাঁও বন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

৩ বছর পর চালু হলো নাকুগাঁও-ঢালু ইমিগ্রেশন

নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ করোনার কারণে এ স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার এবং সবধরনের পণ্যের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে শুধু পাথর আমদানি শুরু হলেও বন্ধই থেকে যায় যাত্রী পারাপার। গতবছরের ২৬ জুন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সেসময় ভারতের ডালু ইমিগ্রেশন চালুর অনুমতি না পাওয়ায় যাত্রী পারাপার সম্ভব হয়নি।

গত ৭ জুন ভারতের পশ্চিম গারো পাহাড়, তুরার পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ সিং সই করা এক আদেশে ডালু ইমিগ্রেশন চালুর নির্দেশ দিলেও নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনে কম্পিউটারে সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ শেষ না হওয়ায় যাতায়াত শুরু করা সম্ভব হয়নি। সব জটিলতা কাটিয়ে এবং সফটওয়্যার আপডেটের পর আজ সকালে সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন।

৩ বছর পর চালু হলো নাকুগাঁও-ঢালু ইমিগ্রেশন

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশি এবং পাঁচজন ভারতীয় নাগরিক নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন দিয়ে পারাপার হন। তিন বছর পর নাকুগাঁও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন খুলে দেওয়ায় খুশি ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হওয়ায় খুব সহজেই চিকিৎসা, ব্যবসা কিংবা ভ্রমণের জন্য কম খরচে ভারত যাতায়াত করতে পারবেন পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং রোগীরা।

৩ বছর পর চালু হলো নাকুগাঁও-ঢালু ইমিগ্রেশন

নাকুগাঁও আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, এ ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হওয়ায় ব্যবসারও ব্যাপক প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীরা ভারতে গিয়ে পণ্য যাচাই করে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এতে এ এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে।

নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই হানিফ উদ্দিন বলেন, তিন বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পারাপার শুরু হলো। এ ইমিগ্রেশন ব্যবহারের ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে সরকার।

ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।