১৫ বছরেও হয়নি সড়ক, স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে নির্মাণ
জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১৫ বছরেও হয়নি সড়ক নির্মাণ। তাই স্বেচ্ছাশ্রমের ওই সড়ক নির্মাণ করছে এলাকাবাসী। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের সাভার সামাজিক গোরস্থান থেকে দক্ষিণপাড়া আমির আলী সরকারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার গ্রামীণ সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোকডহরা ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া সামাজিক গোরস্থানটি দীর্ঘদিনের পুরোনো। যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় মরদেহ গোরস্থানে নিয়ে যেতে স্থানীয়দের মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বর্ষায় নৌকাই একমাত্র ভরসা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১৫ বছরেও কোনো সুফল মেলেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় শতাধিক লোক স্বেচ্ছাশ্রমে পাশের খাল থেকে মাটি কেটে সড়ক বাঁধছেন। কেউ মাটি কেটে টুকরি ও সিলভারের ডিসে ভরে দিচ্ছেন। কেউ টুকরি ও ডিস মাথায় করে মাটি বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় আতিকুর রহমান, ওমর আলী, সাহেব আলী, দুলাল মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আলহাজ হুরমুজ আলী, রফিকুল ইসলাম সহ শতাধিক ব্যক্তি বলেন, ভোটের সময় এলেই প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ভোট চলে গেলে ভুলে যায়। সড়ক নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার অনুরোধ করেও লাভ হয়নি।
গোরস্থান কমিটির সভাপতি আলীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসহাক উদ্দিন বলেন, সমাজে চার শতাধিক পরিবার আছে। গত ১৫ বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেও গোরস্থানের সড়ক পাইনি। বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়কটি নির্মাণে এগিয়ে এসেছে। প্রত্যেকের হাজিরা ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ টাকা দিচ্ছে আবার কেউ শ্রম দিয়ে টাকা পরিশোধ করছেন।
কোকডহরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাছেদ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, গোরস্থানের সড়কটি নির্মাণে আমারও প্রতিশ্রুতি ছিল। নির্বাচিত হওয়ার পর একটি প্রজেক্ট ইউনিয়ন পরিষদে দিয়েছি। অনুমোদনের অপেক্ষার মধ্যেই এলাকার লোকজন সড়কের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কোকডহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গোরস্থানের ওই সড়কটি আমাদের প্রজেক্ট তালিকায় আছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করার কথা ছিল। এরই মধ্যে গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। এটা খুবই ভালো দিক। প্রজেক্ট পাস হলে গোরস্থানের উন্নয়ন হবে।
আরিফ উর রহমান টগর/এসজে/এমএস