‘হেডম্যান-কারবারিদের বন রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, উজাড়ের নয়’
হেডম্যান-কারবারিদের বন রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, বন উজাড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন হেডম্যান-কারবারি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হ্লা থোয়াই হ্রী। তিনি বলেছেন, গাছপালা কমে যাওয়ার ফলে পাহাড়ের ঝিরি-ঝর্ণা শুকিয়ে গেছে।
শনিবার (১৭ জুন) সকালে বান্দরবানের অরুণ সারকী টাউন হলে মারমাদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ও সনদ বিতরণ এবং বন ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় হেডম্যানদের ভূমিকা শীর্ষক অবহিতকরণ সভায় এ মন্তব্যে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২৫৮ বর্গমাইল জুড়ে সাঙ্গু রিজার্ভ ঘোষণা হয়েছে ১৯৮১ সালে ২৫ আগস্ট। মাতামুহুরি রিজার্ভ ঘোষণা হয়েছে ১৮৮০ সালের নভেম্বর মাসে। আজকে সেই রিজার্ভ বন নেই। বৃক্ষশূন্য হওয়ার ফলে ঝিরি-ঝর্ণা শুকিয়ে গেছে। এই রিজার্ভ বন রক্ষার দায়িত্ব বন বিভাগ ও প্রশাসনের ছিল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার আন্দোলন বান্দরবান চ্যাপ্টারের সভাপতি জোয়াম লিয়ান আমলাই বলেন, বর্তমানে যে যার মৌজায় রিজার্ভ বন রয়েছে সেগুলোকে কীভাবে সুরক্ষা করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। যেটা হয়ে গেছে সেটি আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু সবাই যদি আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করি তাহলে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই বন যাতে আর উজাড় না হয়, ভূমি যাতে বেদখল না হয় সেভাবে হেডম্যান-কারবারিদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
হেডম্যান-কারবারি কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উ নি হ্লা হেডম্যান বলেন, বর্তমানে পাহাড়িদের মধ্যেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। তার প্রভাব পড়ছে সন্তানদের ওপর। বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সনদ প্রচলনের পর বিবাহ বিচ্ছেদ কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
নয়ন চক্রবর্তী/এমআরআর/জেআইএম