টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন সিলেট, দুর্ভোগে নগরবাসী
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সিলেট নগরে। একই সঙ্গে ভোটের শহর সিলেটের অলিগলিতে টানানো পোস্টার ছিঁড়ে পড়ে সড়কগুলো পরিণত হয়েছে আবর্জনার ভাগাড়ে।
বুধবার (১৪ জুন) ভোরে টানা কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে জলমগ্ন হয় নগরের নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ে মানুষের বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
জানা গেছে, ভারী বৃষ্টির ফলে নগরের মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, হজরত শাহজালাল (র.) মাজার এলাকার পায়রা ও রাজারগল্লি, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়, ঘাসিটুলা, তালতলাসহ বেশ কিছু এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। অনেক এলাকায় সড়কে হাঁটুপানি দেখা গেছে। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ে মানুষের বাসা-বাড়িতে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ে পানি। একই সঙ্গে বৃষ্টির পানিতে ভিজে নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে পড়ে গেছে। এতে করে পানি আরও বেশি আটকে থাকছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি
নগরের সুবিদবাজার পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা মিঠু দাস বলেন, সিটি করপোরেশন প্রশস্ত ড্রেন নির্মাণ করেছে ঠিকই। কিন্তু ড্রেন দিয়ে পানি নামার ছিদ্র রাখা হয়েছে খুবই ছোট। যার কারণে পানি দ্রুত নামতে না পেরে বৃষ্টি হলেই সুবিদবাজার-পাঠানটুলা সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এতে করে নগরের অন্যতম এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ পড়েন ভোগান্তিতে।
নগরের জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, ‘রাতে ঘুমাবার আগে তো সব কিছু ঠিক ছিল। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার সামনে পানি আর পানি। আমরা থাকি বাসার নিচতলায়। বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক। আজও ঘরের কিছু অংশে পানি ডুকেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। সিটি করপোরেশনের একাধিক কাজ করছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গেলে পানিও নেমে যাবে আশা করছি।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি কবে থেকে বাড়তে পারে, জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
সিলেট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. সজিব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রাতে ও সকালের কিছু সময় সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই মৌসুমে এটা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। আজ সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।
ছামির মাহমুদ/জেএস/এএসএম