যশোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
যশোরের কেশবপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১১ জুন) শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম কবির এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন কেশবপুর উপজেলার শ্রীফলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের স্পেশাল পিপি সেতারা খাতুন।
রায়ে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হওয়া কন্যা সন্তানের জন্মসনদে বাবার পরিচয়ে আল আমিনের নাম থাকবে। ওই কন্যার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণ-পোষণসহ সব ব্যয় সরকার বহন করবে। যা আল আমিনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায় করা হবে। যদি তার সম্পত্তি না থাকে সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সম্পত্তির মালিক হলে সেখান থেকে ব্যয়ের টাকা আদায় করা হবে।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বিচারকাজ চলাকালে ওই কিশোরী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বাবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী ও আসামি আল আমিনের বাড়ি পাশাপাশি। একে অন্যের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল আমিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ১০ মের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরমধ্যে কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন পরিবারের নজরে আসে। ২০২০ সালের ১০ জুলাই আল আমিনের পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি জানিয়ে কিশোরীর পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আসামির পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ১৭ জুলাই আল আমিনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে কেশবপুর থানায় মামলা করেন কিশোরীর বাবা।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুপ্রভাত মন্ডল ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর আল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মিলন রহমান/এমকেআর