লোহাগড়ায় শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ১০ জুন ২০২৩

লোহাগড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।

শনিবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে স্কুলের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়। এসময় বক্তব্য দেন, ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আল্পনা মণ্ডল, খান আশরাফুল হাবিব, কার্ত্তিক চন্দ্র দে। শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান, তানিয়া সুলতানা প্রমুখ।

বক্তারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার দ্রুত বিচার, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের নিরাপত্তা এবং বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: গাছ লাগালেই মিলবে অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর

এর আগে ৭ জুন অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রেয়া অপ্সরা তার বান্ধবীর খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর শিক্ষক সাইফুল ইসলাম অপ্সরাকে উঠিয়ে অন্যত্র বসায়। এ ঘটনা জানাজানির পর অপ্সরার বাবা সুফিয়ান শেখ ও দাদা আয়ন উদ্দীন শেখসহ ৪-৫ জন বিদ্যালয়ে এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে কিল-ঘুষি, লাথিসহ পেটানো শুরু করেন। তিনি প্রাণ ভয়ে দৌঁড়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে আশ্রয় নেয়। সেখানে গিয়েও তাকে মেরে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রী শ্রেয়া অপ্সরার সঙ্গে অসাদাচারণ করেছেন এবং এর আগেও করতেন।

লোহাগড়ায় শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

লোহাগড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শ্রেয়া অপ্সরা পিছনের বেঞ্চে বসা অন্য এক ছাত্রীর খাতা দেখাদেখি করলে তাকে সরিয়ে অন্য বেঞ্চে বসিয়ে দেই। এর বাইরে আর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন: অনিয়মের সত্যতা মিলেছে, শিক্ষকের বেতন-ভাতা স্থগিতের নোটিশ

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় শনিবার (১০ জুন) বিকেলে স্কুল মিলনায়তনে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

হাফিজুল নিলু/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।