ধর্ষণের পর হুমকি: অভিমানে ফাঁস নিলো এসএসসি পরীক্ষার্থী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ০৬ জুন ২০২৩
প্রতীকী ছবি

ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি দেওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মারুফা আক্তার (১৪) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। রোববার (৪ জুন) বিকেলে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মারুফা পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চিকনীকান্দি কোটখালী গ্রামের মৃত আবু সালের মেয়ে। বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সে।

মারুফার বোন তামান্না ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মারুফাকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন নুহু হাওলাদার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কূ-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। মারুফা বিষয়টি আমাদেরকে বলার পর পারিবারিকভাবে আমরা নুহুর স্ত্রী ও পরিবারকে জানাই। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি, উল্টো মারুফাকে দোষারোপ করে আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদান করে তারা। মারুফাকে প্রায় সময় উত্ত্যাক্তসহ মানসিক নির্যাতন করতেন নূহু ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এরই জের ধরে গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে মারুফা মানসিকভাবে হঠাৎ ভেঙে পড়েন। তাকে অস্বাভাবিক দেখে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করি। এক পর্যায়ে মারুফা জানায় নুহু তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দুইদিন আগে ঘরের পাশে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।

তামান্না আরও বলেন, আমার বোন অবিবাহিত কিন্তু এমন একটি বিষয় জানার পর আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আলোচনা করতে গেলে সবার অজান্তে সন্ধ্যায় মারুফা ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মিরাজ মোল্লা জানান, মারুফার মরদেহ সুরাতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি জানা যাবে।

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, এই ধরনের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাওন খান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।