স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক যুবককে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছেন কিছু লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই যুবকের নাম মোখলেছুর রহমান শান্ত (২০)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান নুরু মিয়ার ছেলে। একই গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন শান্ত। ওই স্কুলছাত্রী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা-মাকে জানায়। এ নিয়ে গ্রামে সালিশও বসেছে।
রোববার (৪ জুন) ওই স্কুলছাত্রী তার বান্ধবীসহ প্রাইভেট পড়ে ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজ মোড় সংলগ্ন মজনু মিয়ার বাড়ির সামনে আসামাত্র শান্ত তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে পথরোধ করেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে জাপটে ধরলে ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে বাড়ির মালিক মজনু পিয়ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
সোমবার (৫ জুন) আবারও ওই ছাত্রীকে আটক করে জাপটে ধরার সময় মেয়েটি চিৎকার করলে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। তারা শান্তকে আটক করে মারধর করেন। পরে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বলেন, ‘আমরাতো ওই ছেলেকে মারপিট করিনি। সে অপরাধ করেছে। এজন্য স্থানীয় লোকজন তাকে মারপিট করেছে। আমাদেন কী করার বলেন?’
তবে শান্তর বাবা নুরু মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে এটা সত্য কথা। এ নিয়ে একবার সালিশও হয়েছে। সে যদি অন্যায় করে থাকে তার বিচার আইন করতো। কেন তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিলো? আমিও এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় ওই যুবকের বাবাও ছেলেকে মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন।
ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/জেআইএম