রেলওয়ের নতুন ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ করার দাবি
রেলওয়ের প্রস্তাবিত নীলফামারী-ঢাকাগামী দিবাকালীন ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ পুনর্বহাল ও নীলফামারী স্টেশনের জন্য ৮০ শতাংশ সিট বরাদ্দের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (৩১ মে) বেলা ১১টায় জেলা শহরের চৌরাঙ্গি মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি নোটিশে নীলফামারীর চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের নামকরণ এবং উদ্বোধনের তারিখ ও সময় জানানো হয়। এরপর সোমবার (২৯ মে) রাজশাহী রেলওয়ের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠিতে ওই ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ প্রস্তাবিত উল্লেখ করা হয়। এতে আনন্দে মেতে ওঠে জেলার মানুষ।
তবে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে মঙ্গলবার (৩০ মে) আট জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই কর্মপরিকল্পনায় ঢাকা-চিলাহাটি রুটের নতুন ট্রেনের নাম ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য আগের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলাবাসী।
আরও পড়ুন: নীলফামারী থেকে দিবাকালীন ট্রেন, জেলায় আনন্দের জোয়ার-
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যখন নতুন ট্রেনের খবর প্রকাশ হয় তখন আমরা খুশি হয়েছি। ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ নামকরণের ফলে আমরা আরও খুশি হই। কিন্তু গতকাল সে আনন্দ ম্লান হয়েছে। নাম পাল্টে ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ করা হয়েছে। আমাদের দাবি, আগের নামটিই বহাল থাকুক।
তারা আরও বলেন, এ অঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ নীলফামারীমুখী। তারা নীলফামারী স্টেশন থেকেই ট্রেনে ওঠেন। এখানে ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ প্রয়োজন। এসময় সিট বরাদ্দ ও নাম পুনর্বহাল না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন বক্তারা।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেলওয়ে থেকে পাঁচটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ঠিক করে দিয়েছেন।
রোববার (৪ জুন) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকা পর্যন্ত (দিবাকালীন) নতুন আন্তঃনগর ওই ট্রেনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন ও নামকরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজু আহম্মেদ/এসআর/জিকেএস